সিলেট: সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রুবেল মিয়া (২৮) নামে এক কয়েদির আত্মহত্যার ঘটনায় ডিআইজি প্রিজন কামাল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (৯ জানুয়ারি) তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও রোববার (১০ জানুয়ারি) থেকে তারা কাজ শুরু করেছে।
এছাড়া এ ঘটনায় তিন কারারক্ষীকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে বহিষ্কার ও অপর দু’জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় দায়ের করা হয়েছে।
সিলেট কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রুবেল নামে এক কয়েদি নিজ সেলের ভেতরে গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রুবেল কুমিল্লার লাকসাম এলাকার হাসেম মিয়ার ছেলে। নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কারাবন্দি অবস্থায় আত্মহত্যার ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার দায়ে সাইনুল হক নামে এক কারারক্ষীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাণ গোপাল ও বদরুল ইসলাম নামে দু’জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলায় দায়ের করা হয়েছে। রুবেল সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানার একটি হত্যা মামলায় ৩০ বছর দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। এ মামলায় আরও দু’জন দণ্ডপ্রাপ্ত রয়েছেন। গত চার বছর ধরে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে সাজা ভোগ করে আসছেন।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কারাগারের সেলে গামছা দিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে ওই কয়েদি আত্মহত্যা করেন। আমরা তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছি। ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল দূরে থাকাতে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
এনইউ/আরবি