গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ৪৯টি কম্পিউটার চুরি মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে মাদারীপুর জেলার টেকেরহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর সার্কেল) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত পলাশ শরীফের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামে। তিনি গোপীনাথপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় চন্দ্রা পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালানো হয়। পরে ওই বাসে তল্লাশি চালিয়ে পলাশ শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর থানায় অপহরণসহ দুইটি মামলা রয়েছে।
গত বছরের ২৬ জুলাই গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে ৪৯টি কম্পিউটার চুরি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিগত ১০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেজিস্টার ড. প্রফেসর নূরউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরে ১৪ আগস্ট অভিযান চালিয়ে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা পলাশ শরীফের মালিকানাধীন ঢাকার বনানী এলাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে ৩৪টি কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। ওই সময় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ জন ও ট্রাকসহ চালককে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ৯ আসামিকে গ্রেফতার করা হলো।
গ্রেফতাররা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সদর উপজেলার মেরী গোপিনাথপুর গ্রামের বিল্লাল শরীফের ছেলে মাসরুল ইসলাম পনি শরীফ, একই উপজেলার বরফা শেখ পাড়ার আবুল হোসেন শেখের ছেলে আ. রহমান সৌরভ শেখ, একই এলাকার মধ্যপাড়ার আইয়ুব শেখের ছেলে হাসিবুর রহমান ওরফে শান্ত ওরফে কাকন, কামাল পাশার মিনার ছেলে নাইম উদ্দীন, মাদরীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বিশমপুরদীর সালাম হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাসান, ঢাকার বনানী এলাকার ক্রিস্টাল ইন হোটেল থেকে সেলিম মিয়ার ছেলে মো. দুলাল মিয়া ও ময়েজ উদ্দিনের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির এবং বরফা গ্রামের সোহরাব সরকারের ছেলে ট্রাক চালক মো. ইমরান সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ জানুয়ারি ১১, ২০২১
এনটি