নওগাঁ: নওগাঁর রাণীনগরে বিধবাকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমামসহ স্থানীয় ৭ জন মাতাব্বরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজন মাতব্বরকে গ্রেফতার করেছে।
রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ বিধবার বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার গহেলাপুর বড়িয়া গ্রামের মৃত শাহাদ আলীর ছেলে জাকারুল ইসলাম জাকির স্থানীয় একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। এরইমধ্যে ওই এলাকার এক বিধাবকে (৪০) বিবাহের প্রস্তাব দিলে বিধবা প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। এরপর গত বছরের ১০ নভেম্বর রাতে বিধবার বাড়িতে ঢুকে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার কয়েকদিন পর আবারো ওই বিধবার ঘরে ঢুকলে বিধবা জাকিরুলকে বিয়ের চাপ দেয়। পরে বিয়ে করবেনা জানিয়ে বিধবাকে মারধর করে চলে যায় জাকির।
কিছুদিন পর বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য মাতাব্বররা সালিশ বসিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ওই ইমামের। এরপর বিধবাকে কোনো টাকা না দিয়ে ঘটনা কাউকে না বলতে চাপ দেয় মাতাব্বররা।
এ ঘটনায় ওই বিধবা বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাতে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার অভিযোগ এনে ইমাম জাকিরুল, মাতাব্বর জামালসহ ৩ জনকে এজাহার নামীয় এবং আরো ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুখান দিঘী গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের ছেলে মাতাব্বর জামাল হোসেন (৪৬) ও বড়গাছা গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে অফির উদ্দীনকে (৬০) গ্রেফতার করে।
তবে ঘটনার পর থেকে প্রধান আসামি জাকিরুল পলাতক রয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
এনটি