সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য, তার স্ত্রী এবং পরিবারের আরও তিনজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করার পর চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো এ সংক্রান্ত মামলার কোনো আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
এ সুযোগে হামলাকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সদস্য আহত হায়দার আলীর ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা টুটুল এ অভিযোগ করেন।
এসময় তাদের বোন মোশরেকা খাতুন ও নাসিম মাহমুদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম মোস্তফা টুটুল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার বড় ভাই সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার হায়দার আলী এবং পরিবারের সদস্যরা পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া বহেরা মৌজার ২ একর ৬৬ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। ২০১৭ সালে আলীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান বকুল নামে এক ব্যক্তি ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় হায়দার আলী আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় সম্প্রতি হাইকোর্টও মোস্তাফিজুর রহমান বকুলের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন। তারপরও মোস্তাফিজুর রহমান বকুল জমি দখলের জন্য তাদের গুলি করে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন।
গোলাম মোস্তফা টুটুল অভিযোগ করে বলেন, গত ৮ জানুয়ারি সাবেক সেনা সদস্য হায়দার আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দার, আমি, আমার স্ত্রী সোনিয়া পারভিন এবং আমার শিশুসন্তান শাফিন মোস্তাকিমসহ কয়েকজন ওই জমিতে অবস্থান করছিলাম। এসময় মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, তার ভাই বাবু, মাসুদ, তাদের সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীর, পুষ্পকাটীর জসিম সরদার, আব্দুর রহিম, আব্দুর রকিব, মুজিবর রহমান ও জিয়ারুলসহ সাত-আটজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা করেন। এসময় তারা আমাদের পাঁচজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তাদের হাত থেকে আমার ছোট্ট ছেলেটিও রেহাই পায়নি। আহত সবাইকে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গোলাম মোস্তফা টুটুল আরও বলেন, এ ঘটনায় দেবহাটা থানায় ১০ জানুয়ারি একটি মামলা করা হয় (মামলা নম্বর-০৩)। কিন্তু অজানা কারণে এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। মামলার খবর পেয়ে স্থানীয় গোলাম রব্বানী মেম্বার ও বকুলসহ তাদের সহযোগীরা সাবেক ওই সেনা সদস্যের পরিবারকে নতুন করে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। গ্রেফতার না হওয়ায় তারা এলাকায় সন্ত্রাসী মহড়া দিচ্ছেন। এসব ঘটনা জানালেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এখন আমদের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
তিনি দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২১
এসআই