সিলেট: সিলেটের আদি উৎসব পলো বাওয়া। পরিচিত এই পলো বাওয়া উৎসব এ মৌসুমে উজ্জীবিত করে মাছ ধরতে।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি হাওরের বড়বিলে শুরু হয়েছে সেই পলো বাওয়ার প্রতিযোগিতা। এদিন দুপুর ১২টা থেকে পলো বাওয়া উৎসব শুরু হয়। শিশু থেকে বুড়ো, সবাই পলো হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন হাওরে।
এ উৎসব যেনো ওই এলাকার খানদানি বললেন বৃদ্ধ ছফির আলী। তিনিও পলো হাতে বিলের পাড়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গ্রামীণ সংস্কৃতি বা পুরোনো ঐতিহ্য কিছুটা হলেও ধরে রাখার চেষ্টা করছেন তারা। তেমনিভাবে সিলেটের বিশ্বনাথের বড়বিলে আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে প্রায় দুইশ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু হলো।
এ উৎসবের মধ্য দিয়েই স্থানীয়রা জানান দিল পুরোনো সংস্কৃতির। দুপুর ১২টা থেকে মনের আনন্দে পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেন উপজেলার বিশ্বনাথ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ। দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে পলো বাওয়া উৎসব।
এ উৎসবে যোগ দিতে ছেলে-বুড়োসহ প্রায় তিন শতাধিক ব্যক্তি ছুটে আসেন বড়বিলে। কারোও হাতে পলো, ছিটকি জাল, উড়াল জাল, লাঠি জাল, হাত জাল (ঠেলা জাল)।
এলাকাবাসী জানান, পলো বাওয়ায় ধরা পড়া মাছের মধ্যে শোল ও বোয়ালই বেশি। অনেকেই আবার গজার মাছ ধরতে সক্ষম হন।
পলো বাওয়া উৎসবের আনন্দ যুবক-বৃদ্ধের চেয়ে ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে একটু বেশি। তারা তাদের বাবা-চাচা-দাদা-মামা-ভাইয়ের হাত ধরেই উৎসবে শরিক হতে এসেছে।
পৌষ সংক্রান্তির পর পরই প্রায় দুই শত বছর ধরে চলা এই পলো বাওয়া উৎসবে যোগ দেন বিশ্বনাথ ইউনিয়নের ১৪-১৫ গ্রামের ছোট-বড় শত শত মানুষ।
এদিকে এই পলো বাওয়া দেখতে আশপাশের গ্রামের এবং দূর-দূরান্ত থেকেও লোকজন সকাল থেকেই ছোট ছোট দল বেঁধে আসতে থাকেন বিলের পাড়ে।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় দুইশ বছর ধরে এই বিলে ‘পলো বাওয়া উৎসব’ পালন হয়ে আসছে। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে বিলে মাছ শিকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২১
এনইউ/আরএ