জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক খাতেও বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক খাতেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চলতি বছরের প্রথম অধিবেশনে দেওয়া (শীতকালীন) ভাষণে এ কথা জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি তার ভাষণের সংক্ষিপ্ত অংশ অধিবেশনে পড়ে শোনান। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ২০১০ সালে দারিদ্র্য হার ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ ও হত দারিদ্র্য হার ছিল ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে দারিদ্র্য হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং হত দারিদ্র্য হার ১০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
আবদুল হামিদ বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৪৯ লাখ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫০ হাজার, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় উপকার ভোগীর সংখ্যা এক লাখ জন করা হয়েছে। প্রতি বছর দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ৩০ হাজার দরিদ্র ও অসচ্ছল রোগীকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুস্থ, অনগ্রসর ও দরিদ্র নারীদের জন্য প্রায় ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে দশটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে ২০ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৩ জন নারী উপকৃত হয়েছে। ‘নির্যাতিত দুস্থ নারী ও শিশু কল্যাণ তহবিল’ থেকে করোনার সময় ১ হাজার ৩৬১ জনকে ৫৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন কঠোরভাবে দমনের লক্ষ্যে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান অন্তর্ভুক্ত করে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ সংশোধন করা হয়েছে।
** সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ নির্মূলে আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২১
এসকে/ওএইচ/