ঢাকা: মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলার তদন্ত প্রায় শেষ। শুধু বাকি রয়েছে ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ প্রতিবেদন।
পুলিশ বলছে, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ইফতেখার ফারদিন দিহান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এই ঘটনায় দিহানের বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যালোচনা করা হয়েছে তার বাড়ি ও আশপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ। তদন্তে এখন পর্যন্ত দিহানের সংশ্লিষ্টতাই পাওয়া গেছে। তবে নিহত আনুশকার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মামলার অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা যাচ্ছে না।
নিহত শিক্ষার্থী আনুশকার পরিবার বলছে, আনুশকা হত্যার ঘটনায় পুলিশ এখনও তদন্ত করছে। আমরা যেন ন্যায় বিচার পাই সেজন্য সঠিক নিয়মে ও গুরুত্বের সঙ্গে পুলিশ তদন্ত করছে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আসাদুজামান বাংলানিউজকে বলেন, স্কুলছাত্রী আনুশকা হত্যা মামলাটি আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই মামলার আসামি গ্রেফতার ও তদন্তের সকল কার্যক্রম করা হচ্ছে। অভিযুক্ত দিহান আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
তিনি বলেন, মামলার তদন্ত কার্যক্রম প্রায় শেষের দিকে। এখন নিহত আনুশকার ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ প্রতিবেদন পেতে কিছুটা সময় লাগছে। এছাড়াও মামলার সাক্ষীদের আরও কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা বাকি রয়েছে। সেই কাজগুলো করার প্রক্রিয়া চলছে।
এর আগে, গত ৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানে বন্ধুর বাসায় গিয়ে বিকৃত যৌনাচারের কারণে অধিক রক্তক্ষরণে মারা যায় মাস্টারমাইন্ড স্কুলের শিক্ষার্থী আনুশকা নুর আমিন।
নিহত শিক্ষার্থী আনুশকার মা বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ মামলার তদন্ত করছে। এখনো তারা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পায়নি। পুলিশ আমাদের বলেছে, এই প্রতিবেদন পেতে কিছুটা সময় লাগছে। ওই প্রতিবেদন দ্রুত পাওয়ার বিষয়ে তারাও চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, আসামি পক্ষ আমার মেয়েকে নিয়ে নানা কথা এখনও বলছে। তারা দোষ চাপানোর জন্য আমার মেয়ের চালচলন নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন তুলে যাচ্ছে। কিন্তু আমি তো আমার মেয়েকে হারিয়েছি। আর কোনো দিন আনুশকা আমাদের মাঝে ফিরে আসবে না। আমার মেয়েকে তো আর কেউ ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তাই আমি আনুশকার হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে, মামলার এজাহারে ও এখন পর্যন্ত মামলার তদন্তে এ ঘটনায় শুধুমাত্র দিহান জড়িত থাকার বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও আনুশকার বাবা আল আমিন দাবি করছেন, ঘটনা একা ঘটায়নি দিহান। আনুশকাকে যেভাবে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে এতে আরও কেউ জড়িত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এসজেএ/এইচএডি/