টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পূর্ব শত্রুতার জেরে নুরুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার লক্ষিন্দর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছাইফুল ইসলাম।
নিহত নুরুল ইসলাম ছনখোলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আনিছুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে নুরুল ইসলাম নিখোঁজ হন। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজ নিয়ে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে রোববার একটি সাধারণ ডায়েরি করেন তার ছেলে আনিছুর রহমান। সাধারণ ডাইরীর সূত্র ধরে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিহতের মেয়ের শশুর জামাল হোসেনের মেয়ের জামাই ফজর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন ফজর আলী। পরে তার সহযোগিতায় পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত জামাল হোসেন (৪৫) ও অটোচালক শাহ আলমকে (২২)-কে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্যানুসারে উপজেলার লক্ষিন্দর গ্রামের প্রাইমারি স্কুলের পাশের জঙ্গল থেকে সোমবার রাতে নুরুল ইসলামর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের ছেলে আনিছুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দেওয়াজানা বাজার থেকে জোর করে নুরুল ইসলামকে অটোরিক্সায় তোলেন তারা। পরে অটোর ভেতরেই তার শ্বাসরোধে করেন। রামদেবপুর পর্যন্ত পৌঁছানোর পর নুরুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে লক্ষিন্দর প্রাইমারি স্কুলের পাশের জঙ্গলে লাশ ফেলে চলে আসেন।
লক্ষিন্দর ইউনিয়নের স্থানীয় সদস্য বাহাদুর জানান, জামাল হোসেন দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি দেশে এসেছেন। তাদের প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পারি নিহত নুরুল ইসলামের সঙ্গে জামাল হোসের স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।
ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.ছাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটানায় মামলা হয়েছে, আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২১
এমএইচএম