ঢাকা: প্রাণীর খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত লবণেও আয়োডিন যুক্ত করার বাধ্যবাধকতার বিধান রেখে সংসদে ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১’ উপস্থাপন করা হয়েছে।
১৯৮৯ সালে ‘আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন’ রহিত করে এবং জেল জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন করার জন্য বিলটি আনা হয়েছে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সকালে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সংসদ অধিবেশনে এ বিল উত্থাপন করেন।
বিলটি সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
সংসদে তোলা বিলে মানুষের জন্য ভোজ্য লবণ এবং প্রাণীর খাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত লবণে আয়োডিন না থাকলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে খুচরা লবণ বিক্রেতা এই অপরাধে দণ্ডিত হবেন না।
উপস্থাপিত বিলটিতে বলা হয়েছে, লবণ আমদানি, উৎপাদন, গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ পরিশোধন করতে চাইলে এই আইনের অধীন নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন না করলে দুই বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। প্যাকেট বা লেবেলবিহীন ভোজ্য বা অভোজ্য লবণ বিক্রি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব রাখা হয়েছে এ বিলে।
বিলটির উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ভোজ্য লবণে আয়োডিনযুক্তকরণ এবং মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর খাদ্য তৈরিতে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের আয়োডিনযুক্ত লবণ খাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে বিদ্যমান আয়োডিনে অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন-১৯৮৯ রহিতক্রমে প্রয়োজনীয় সংশোধনপূর্বক যুগোপযোগী করে বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হলো।
বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় মানমাত্রা নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত আয়োডিনযুক্ত লব্ণ উৎপাদনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ থেকে ৫০ পিপিএম এবং খুচরা পর্যায়ে ২০ থেকে ৫০ পিপিএম মাত্রার আয়োডিন থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
এসকে/এমজেএফ