ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি যদি আগে ভ্যাকসিন পেতে চায়, তাহলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারি যে বিএনপিকে যেন আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ’
‘বিএনপি লুটপাটের দলতো, তাই তারা সব কিছুতে লুটপাট দেখে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে সরকার লুটপাট করছে ও দলীয়করণ করা হচ্ছে’-এ অভিযোগ কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রথমতো করোনা মহামারিকে প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট বলিষ্ঠ হাতে মোকাবিলা করেছেন। যার প্রশংসা বিশ্বের সবাই করেছে। ব্লুমবার্গের মতে, বাংলাদেশ করোনা মহামারি মোকাবিলায় পুরো পৃথিবীতে ২০তম হয়েছে। তারা (বিএনপি) মনে করেছিল, এ করোনা মহামারি সরকার সহজে মোকাবিলা করতে পারবে না। যখন সেটি হয়নি, তারা প্রথম থেকে আশঙ্কা করেছিল বা ধারণা করেছিল- এমনকি প্রার্থনা করেছিল, যে এ করোনা মহামারিতে যেন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়, দেশে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু সেটি হয়নি, সেটা না হওয়াতে তারা প্রচণ্ড হতাশ। এরপর তারা গুজব রটিয়েছিল একটি ভুল সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে যে ভ্যাকসিন আসছে না। কিন্তু সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আসছে। এমনকি আমরা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন পাচ্ছি উপহার হিসেবে এবং সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আসছে। যখন সব কিছুতেই ব্যর্থ হচ্ছে এখন ভ্যাকসিন নিয়ে অন্য কথা। ’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি লুটপাটের দলতো তাই তারা সবকিছুতে লুটপাট দেখে। সরকার একটি নীতিমালার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করবে। যারা করোনা মহামারিতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার, তারা নিশ্চয় প্রথমে পাওয়ার অধিকার রাখে। সুতরাং এ ব্যাপারে সরকার চিন্তাভাবনা করে যাদের আগে দেওয়া প্রয়োজন, তাদের আগে দেবে। বিএনপি যদি আগে ভ্যাকসিন পেতে চায়, তাহলে আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করতে পারি যে বিএনপিকে যেন আগে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বলেছেন, ‘বর্তমানে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি চলছে, তাতে একটি গণতান্ত্রিক দলের রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ নেই, এজন্য সব দল নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ’ এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলবো, তিনি যে দল করেন, সে দলে যে কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি আছে, আগে সেটি নিয়ে একটু কথা বলুক। যে দেশে নাই, একজন শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি, আরেকজন হচ্ছেন শাস্তিপ্রাপ্ত কয়েদি, শাস্তিপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তো সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপার থেকে যেটি বলে, সেটি হয় এবং সেভাবে তাদের দলের সিদ্ধান্ত হয়। সুতরাং কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি তাদের দলে আছে, আমাদের দলে নাই। ’
তিনি বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি আমাদের দলে থাকলে আব্দুল কাদের মির্জা এতো কথা বলতে পারতেন না। বললে সেটির জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হতো, সেটি হয়নি। তাদের দলের মির্জা হাফিজ দলের একটু সমালচনা করেছিল এজন্য, তাকে যেভাবে যে ভাষায় শোকজ করা হয়েছে। সে দলের মহাসচিবের এ রাজনীতি নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২১
জিসিজি/এসআই