ঢাকা: প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব ড. মু আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে দুদক কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
দুদক সচিব বলেন, পি কে হালদারের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে এবং প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের গ্রেপ্তার করেছেন।
তিনি আরও বলেন, পি কে হালদারের অনেক অবৈধ সম্পদ তার এই দুই সহযোগী দেখাশোনা করতেন। পি কে হালদার ভুয়া ঋণ দেখিয়ে অবৈধ অর্জিত প্রায় ১০০ কোটি টাকা তার মা লীলাবতী হালদারের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখেন। পরে লীলাবতী হালদারের ব্যাংক হিসাব থেকে সুকুমার মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও অনিন্দিতা মৃধা পিকে হালদারের কাছে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করে মানিলন্ডারিং করেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তথ্য পেয়েছেন। সুকুমার মৃধার দখলে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পদ এবং তার মেয়ের দখলে প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পি কে হালদারের সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পি কে হালদারের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ২৫ জন ব্যক্তির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। এ তালিকায় সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধা রয়েছেন। পরে এ দুজনসহ ৬২ জনের ব্যাংক একাউন্টও জব্দ করে দুদক।
পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্যবহার করে তিনি লিজিং কোম্পানি থেকে ৩ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা সরিয়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাতিয়েছেন প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। এর বড় অংশই পাচার হয়েছে বিদেশে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১ ২০২০
এসএমএকে/এমজেএফ