পাবনা (ঈশ্বরদী): ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে ১০টা। সূর্যের দেখা মাঝে মধ্যে মিললেও ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে কুয়াশা ধেয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টা বাজলেও সূর্যের আলোর কখনো দেখা মিলছে, কখনো দেখা নেই। বেলা যতোই গড়িয়ে পড়ছে, বাতাস আর শীতের মাত্রা যেন ততই বেশি।
ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, ঠাণ্ডা বাতাসে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছে না কেউ। কনকনে শীতে কেউ আগুন তাপিয়ে গরম অনুভূতি নিচ্ছে। জীবন-জীবিকার তাগিদে কেউ বের হচ্ছে। গরম কাপড় পেচিয়ে গায়ে মোটা শীতের সোয়েটার কিংবা জ্যাকেট পড়ে বের হচ্ছেন অনেকে। মানুষের পাশাপাশি প্রাণীকুলেও পড়েছে শীতের প্রভাব। এদিকে হাসপাতালগুলোতে ক্রমেই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। দূরপাল্লার বাসে ট্রেনে যাত্রী উপস্থিতি একেবারেই কম।
কনকনে শীত, ঠাণ্ডা বাতাসে হাত পা অবস হয়ে যাচ্ছে। শীতে খুব একটা কাজ পাওয়া যায় না। খুব নিরূপায় হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কাজ না পেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি। অনেকটাই আক্ষেপ করে কথাগুলো বলেলেন ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের দিনমজুর দেলোয়ার আলী (৫০)।
ঈশ্বরদী পৌর এলাকার বাসিন্দা, দিনমজুর হান্নান আলী (৪০) বাংলানিউজকে জানান, শীতে দিনমজুর মানুষের খুব কষ্ট হয়ে গেছে। শীতে এমনিতেই কোনো কাজ নেই, ঠাণ্ডায় কাউকে কাজেই নিচ্ছে না। কাজ না পেয়ে অনেকে বাধ্য হয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে।
ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ২ নম্বর প্লার্টফর্মে বসে থাকা দোকানি আলমগীর হোসেন (৫০) বাংলানিউজকে জানান, অসম্ভব ঠাণ্ডার কারণে যাত্রীবাহী ট্রেনে যাত্রী কম থাকার কারণে কোনো বেচাকেনা নেই। অথচ এই দোকানে ৫ হাজার টাকাও বিক্রি করেছি। সকাল থেকে ১০০ টাকাও বিক্রি হয়নি। এখন দোকানের কর্মচারির হাজিরা দূরের কথা, বাজার-সদায়-সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে গেছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আকাশে মেঘ থাকায় সূর্যের আলোর দেখা পাওয়া যায়নি। তাপমাত্রা কিছু কমে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। দিনের শেষে রোদের দেখা মিলবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২১
এনটি