মানিকগঞ্জ: ‘বিয়ে হয়ছিলো ২০ বছর আগে। বিয়ের কয়েক দিনপর থেকে স্বামীর কোনো খোঁজ নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার নিজের পরিচয় দেওয়ার মতো একটি ঠিকানা দিয়েছে। আমি তার দীর্ঘায়ু কামনা করছি। তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান যেমন দেশ ও দেশের মানুষের কথা ভেবে জীবন দিয়েছেন ঠিক তেমনি তার মেয়ে আমাগো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীবের জন্য ঘর উপহার দিয়েছেন। আমরা যারা এই ঘরে নিরাপদে থাকবো তারা সকলে তার জন্য (শেখ হাসিনা) দোয়া করবো।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের খলিসা দহরা এলাকায় সরকারি জমির উপর নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমি ও গৃহহীনদের আবাসন প্রকল্পের আওতায় রয়েছে আধুনিক সুয়োগ সুবিধা সমন্বয়ে একটি পাকা ঘর আর তাতে রয়েছে দুটি কক্ষ সঙ্গে আরো আছে রান্না ঘর, টয়লেট ও গভীর নলকূপসহ বিদ্যুৎ।
ওই একই আশ্রয়ন প্রকল্পের আরো এক বাসিন্দা ভ্যালা রানী বাকালী বাংলানিউজকে বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর বালিয়াটি জমিদার বাড়ির পাশে টুপরির নিচে কাটছে আমার জীবন। সংসার জীবনে রয়েছে আমার তিন মেয়ে, দুই মেয়ের বিয়ে দিয়েছি মানুষের কাছে হাত পেতে। মেয়ের জামাইরা আসে না কারণ আমি যে কাউকে বসতে দিবো সেই জায়গা টুকু আমার নেই। প্রধানমন্ত্রী আমার স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছে, আমাকে থাকার জন্য জায়গাসহ ঘর দিয়েছে। এই ঘরের নিচে আমি আর আমার মেয়ে থাকতে পারবো। ঈশ্বরের কাছে দু-হাত তুলে দোয়া করি তিনি যেন প্রধানমন্ত্রীর বাবা মাকে উপারে ভালো রাখেন। ’
জেলা প্রশাসক এস.এম ফেরদৌস বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন শনিবার (২৩ জানুয়ারি) । মানিকগঞ্জ জেলায় মোট ১৩৫টি উপকার ভোগী পরিবারের কাছে গৃহ হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০২১
এনটি