ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্মাণের ১৪ বছরেই পরিত্যক্ত বিদ্যালয় ভবন!

বদরুল আলম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
নির্মাণের ১৪ বছরেই পরিত্যক্ত বিদ্যালয় ভবন! পরিত্যক্ত স্কুল ভবন। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: নির্মাণের ১৪ বছর পার হতেই লাখাই উপজেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ভবনজুড়ে ফাটল ও পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে।

শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য সেখানে একটি টিনের ঘর তৈরি করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৭ সালে প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে লাখাই উপজেলার মোড়াকরি ইউনিয়নের সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণ করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ভবনের স্থায়িত্বের মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। কিন্তু ১৪ বছর হওয়ার আগেই এর পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনজুড়ে দেখা দিয়েছে ফাটল। যেকোন সময় ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
 
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, স্থানীয় ঠিকাদার নজরুল ইসলাম সুবিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ করেছিলেন। তিনি পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁচামাল ব্যবহার করেননি। নিম্নমানের কাজ করেছেন। সেজন্য ১৪ বছরেই ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
 
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন, ভবন নির্মাণের সময়ও তিনি এখানেই কর্মরত ছিলেন, নিম্নমানের নির্মাণ কাজের প্রতিবাদও করেছিলেন। কিন্তু ঠিকাদার শোনেননি। ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পর সেখানে তারা একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেছেন। মহামারি করোনার ছুটির পরে স্কুল খুললে টিনের ঘরেই পাঠদান শুরু হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
 
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) লাখাই উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ভবনে ফাটল ও পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আরও ছয় মাস আগেই এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে এখানে আরেকটি ভবন নির্মাণের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। শিগগির নির্মাণকাজ শুরু হবে।
 
তিনি আরও জানান, এলজিইডির ভবনগুলোর মেয়াদকাল থাকে ৩০ বছর। কিন্তু এ ভবনটি ১৪ বছরেই পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ার জন্যই এটা হয়েছে। আগামী ২৬ জানুয়ারি এখানে আরেকটি নতুন ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।