খুলনা: খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ফরমায়েশ খানার বার্মাশিল খেয়াঘাট এলাকায় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত পুলিশের সোর্স মামুন (২৬) মৃত্যু হয়েছে। মামুন মৃত্যুর আগে হামলাকারীদের বর্ণনা দিয়ে গেছেন।
মামুন উপজেলার সেনহাটি শরিষাপাড়া এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে। মামুনের ওপর হামলাকারীদের বর্ণনা দেওয়া ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মামুন তার ওপর হামলাকারীদের বর্ণনা দিয়েছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে মামুনকে সন্ত্রাসীরা ধরে নদীর তীরে পরিত্যক্ত পাট গোডাউনের ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মামুনকে মারাত্মকভাবে জখম করে ফেলে রেখে যায়। এলাকার লোকজন আহতাবস্থায় মামুনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে মামুনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। কিন্তু রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে মামুনের মৃত্যু হয়।
এলাকাবাসী জানায়, নিহত মামুন পরিবারসহ খুলনা শহরের কাশিপুর এলাকায় থাকতেন, সেখানে ডিবি পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। পরে তিনি পরিবারসহ দিঘলিয়ার সেনহাটি গ্রামের শরিষাপাড়া এলাকায় বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন।
মৃত্যুর আগে আহত মামুনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তার ওপর হামলাকারী হিসেবে স্থানীয় কনডম রিপন ও কানা মাঝির নামোল্লেখ করতে শোনা যায়।
তিনি সেই ভিডিওতে বলেন, একজন তার মুখে টেপ মেরে ফাঁকা জায়গা নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় এবং জিআই পাইপ দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) খবর পেয়ে দিঘলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আলামত জব্দ করেন।
ওসি বলেন, সন্ধ্যায় নিহত মামুনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তাতান্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এমআরএম/ওএইচ/