বেনাপোল (যশোর): যশোরের শার্শা ও বেনাপোলে পৃথক দুই শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক ট্রাকের হেলপার ও এক মাদরাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর ও বিকেলে শার্শার রামপুর ও বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামে শিশু ধর্ষণের ঘটনাগুলো ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- শার্শার রামপুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে সাগর হোসেন (১৫), বেনাপোল পৌর এলাকার ছোট আঁচড়া গ্রামের মাওলানা আবুল হোসেনের ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক সালমান ফার্সি (২৬)।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম জানান, শিশুটির পরিবার সাগর হোসেন নামে এক ট্রাকের হেলপারের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করলে তাকে আটক করা হয়। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে তাকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এদিকে বেনাপোলের ভবারবেড় গ্রামের ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা জানান, তার মেয়ে সকাল ১০টার সময় ভবেড়বেড় দারুস সালাম কওমি মাদ্রাসায় পড়তে যায়। দুপুরে শিশুটি মাদ্রাসা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করতে থাকে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ঘটনাটি জানায়। তিনি তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে থানায় অভিযোগ করেন।
পরে পুলিশ মাদরাসার চার শিক্ষককে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এই চার জনের ছবি শিশুটিকে দেখালে এদের মধ্যে সালমান ফার্সি নামে একজনকে সে অভিযুক্ত বলে শনাক্ত করে। এসময় পুলিশ সালমানকে আটক করে বাকি তিনজনকে ছেড়ে দেয়।
বেনাপোল পোর্ট থানার (ওসি তদন্ত) রাসেল সারোয়ার জানান, সন্ধ্যায় শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
এমএইচএম