ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এনআরবি ব্যাংকের তিন পরিচালকসহ চারজনকে দুদকে তলব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
এনআরবি ব্যাংকের তিন পরিচালকসহ চারজনকে দুদকে তলব

ঢাকা: মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এনআরবি ব্যাংকের তিন পরিচালক ইদ্রিস ফরায়জী, নাফিহ রশিদ খান, নাভিদ রশিদ খানের এবং তাদের বাবা শেয়ার হোল্ডার আমিনুর রশিদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, এনআরবি ব্যাংকের তিন পরিচালক ইদ্রিস ফরায়জী, নাফিহ রশিদ খান, নাভিদ রশিদ খান এবং তাদের বাবা শেয়ার হোল্ডার আমিনুর রশিদ খানকে ১ ফেব্রুয়ারি তলব করেছে দুদক।

দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি চারজনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে চিঠি দেয় দুদক।

জানা যায়, দুর্নীতি, অনিয়ম, কর ফাঁকি এবং বিদেশে হুন্ডি কারবারের মাধ্যমে বিপুল অর্থবিত্ত গড়েছেন আমিনুর রশিদ খান ও তার পরিবার। বাবার সুবাদে দুই ছেলে এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক হয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে ফ্ল্যাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে অভিযুক্তদের ব্যাপারে তথ্য চায় দুদক। তাদের নামে দেশে-বিদেশে কোনো চলতি বা সঞ্চয়ী ব্যাংক হিসাব, স্থায়ী আমানত, শেয়ার, লকারসহ অন্য ব্যাংক হিসাব থাকলে বিবরণী চাওয়া হয়েছে। এছাড়া স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থাকলে সে তথ্যও চেয়েছে দুদক।

দুদকের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমিনুর রশিদ খান সিঙ্গাপুরকেন্দ্রিক হুন্ডি ব্যবসার অংশীদার এনআরবি ব্যাংকের পরিচালক এম বদিউজ্জামান, তার স্ত্রী নাসরিন জামান ও মেয়ে তানিয়া জামান। এই চক্রের আরেক সহযোগী ইউরোপের হুন্ডি ব্যবসায়ী ইদ্রিস ফরায়জী। তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ। এর মাধ্যমেই বিদেশে অবৈধ উপায়ে অর্থপাচার করা হয় বলে অভিযোগ আছে।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দেশে-বিদেশে আমিনুর রশিদ খান এবং তার ছেলের নামে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে দেশ ট্রেডিং করপোরেশন, বাল্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, জব্বার জুট মিলস লিমিটেড, বাংলাদেশ মেডিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড, হাইড্রোকার্বন, এম ইশরাত হিমাগার লিমিটেড। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে জেনট্রেড এফজেডই (ইন্টারন্যাশনাল কমোডিটি ট্রেডিং) ইউএই, কমোডিটি ফাস্ট ডিএমসিসি (ইন্টারন্যাশনাল কমোডিটি ট্রেডিং) ইউএই, লোচ শিপিং ইন্টারমিডিয়ারি এফজেই (ইন্টারন্যাশনাল কমোডিটি ট্রেডিং) ইউএই।

এদিকে আমিনুর রশিদ খান এবং তার দুই ছেলের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানের দায়িত্বে রয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমানের সমন্বয়ে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
এসএমএকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।