ঢাকা: আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রপ্তানি আয় চার বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভা কক্ষে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, নীতিমালায় চার বছরের মধ্যে জাহাজ নির্মাণ খাতের কর্মী সংখ্যা ৩০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এক লাখ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জাহাজ নির্মাণ খাতের উৎপাদন বৃদ্ধি, এই শিল্প সংশ্লিষ্ট নানাবিধ ব্যাকোয়ার্ড লিংকেজ শিল্পের বিকাশ, অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আমদানি নির্ভরতা হ্রাস, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ জাহাজ নির্মাণ শিল্পের টেকসই বিকাশ ত্বরান্বিত করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনাসহ জাহান নির্মাণ শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।
নীতিমালার মূল লক্ষ্য তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহনের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় জাহাজ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে বিশ্ব জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উপযুক্ত অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলা নীতিমালার লক্ষ্য।
এছাড়া অধিক বিনিয়োগ ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাহাজ রপ্তানি খাতের অবদান চার বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হবে, এখন জাহাজ রপ্তানি করে আয় হয় এক বিলিয়ন ডলার।
নীতিমালা অনুযায়ী, অধিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে জাহাজ শিল্পে নিয়োজিত বিদ্যমান ৩০ হাজার কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে এক লাখে উন্নীত করা হবে।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে সুষ্ঠু সমন্বয়ের মাধ্যমে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করাও নীতিমালার উদ্দেশ্য।
জাহাজ নির্মাণের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের কীভাবে ঋণ সহায়তা দেওয়া যায়, ট্যাক্স ও ভ্যাটের ক্ষেত্রে তাদের কীভাবে একটু সুবিধা দেওয়া যায় তা নীতিমালার মধ্যে আছে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজ নির্মাণ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুড ইন্ডাস্ট্রি। এর মাধ্যমে আমরা নিজেদের জন্য জাহাজ তৈরি করতে পারবো। এতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।
উন্নত দেশগুলো সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মাণ শিল্প থেকে দূরে সরে এসেছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা এখন আউটসোর্সিং করছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে এই ইন্ডাস্ট্রিটাকে ক্যাচ করতে পারি। সেটা পারলে এখান থেকে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২১
এমআইএইচ/এএ