বরিশাল: কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বরিশাল নদী বন্দর থেকে নির্ধারিত সময়ের ২ ঘণ্টা পর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে দুটি লঞ্চ।
সিটি মেয়রের হস্তক্ষেপে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে যাত্রীদের নিয়ে এমভি সুন্দরবন-১০ ও এমভি মানামী নামের লঞ্চ দুটি বরিশাল নদী বন্দর টার্মিনাল ত্যাগ করে।
বরিশাল সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, বরিশাল থেকে দুটি লঞ্চ রাত ১১টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এ লঞ্চগুলো রাত ৯টার মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিলো। অপরদিকে, ঢাকা থেকেও এমভি সুন্দরবন ১১ ও এমভি কুয়াকাটা নামের দুটি লঞ্চ বরিশালের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এরমধ্য দিয়ে দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলো।
>>>যাত্রীবাহী লঞ্চ শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার
এদিকে নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে দুপুরের দিকে বরিশাল নদী বন্দরের ঘাটে থাকা ঢাকাগামী লঞ্চগুলোকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে সন্ধ্যা থেকে বরিশাল নদী বন্দরে যাত্রীরা স্বাভাবিক নিয়মে আসতে শুরু করেন। নদী বন্দরে এসে তারা ঢাকাগামী কোনো লঞ্চ দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেন সহস্রাধিক যাত্রী। পরে বরিশাল সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর হস্তক্ষেপে এমভি সুন্দরবন ১০ ও এমভি মানামী নামের লঞ্চদুটি বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনালে ফিরিয়ে আনা হয়।
সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, হঠাৎ করে কর্মবিরতির কারণে বরিশাল নদী বন্দরে আসা অসংখ্য যাত্রী আটকা পড়ে যান। তাদের দুর্ভোগের বিষয়টি জানতে পেরে লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক বৈঠক করেন তিনি। এরপর নিজেই নদী বন্দরে গিয়ে কীর্তনখোলা নদীর অপরপ্রান্তে থাকা লঞ্চগুলোকে ঘাটে ফিরিয়ে আনেন। যারমধ্যে যাত্রীসংখ্যা অনুযায়ী দুটি লঞ্চকে ঢাকার উদ্দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। জনসাধারণের দুর্ভোগের খবর পেয়ে জনপ্রতিনিধি হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানান সিটি মেয়র।
উল্লেখ্য, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করার ঘোষণা কেন্দ্রীয়ভাবে আসলেও যাত্রী অপ্রতুলতার অজুহাতে বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চ না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২০
এমএস/এনটি