মেহেরপুর: গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে বাড়ি-ঘরে হামলা, মামলার ভয় দেখানোসহ নানা অভিযোগ করেছেন গাংনীর চেংগাড়া গ্রামের একটি পরিবার।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ওই পরিবারটি।
তারা জানান, আমাদের বাবা তোফাজ্জেল হোসেন বৈধ মালিকানা জমিতে আদালতে প্রতিপক্ষ মৃত রফিজ উদ্দীনের ছেলে মোমিন, বারেক, খলিল, দুলাল গং-এর সঙ্গে মামলা চলছে। মামলা চলমান থাকলেও আমার বাবার রেকর্ডকৃত জমি জবর দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে তারা। প্রতিপক্ষের কাছে কোনো রকম কাগজপত্র না থাকলেও রাস্তার দাবিতে জমি জবর দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অথচ তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তা রয়েছে।
রফিজউদ্দীনের ছেলে মোমিন, বারেক, খলিল, দুলাল গং মুন্সেফ আইনকে অমান্য করে লোকজন নিয়ে জমি জবরদখল করার জন্য গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একদল ক্যাডার সোমবার দুপুর ২টার দিকে এসে তামাক পোড়ানো ঘরসহ বালি ও বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করেন। এসময় গোলাম মোস্তফা দারোগা আমার বাড়ির পুরুষ মানুষকে খোঁজাখুঁজি করে। তাদের নামে মামলা দেওয়াসহ হাতির পাঁচ পা দেখানোর হুমকি দেন।
জমি নিয়ে প্রতিপক্ষ মোমিন জানান, আমরা দীর্ঘ ৫০-৬০ বছর ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে এখানে বসবাস করে আসছি। আমরা জানতাম আমাদের বাড়ি থেকে গ্রামের প্রধান রাস্তায় উঠতে যে পথটি ব্যবহার করতাম সেটি যে রেকর্ড হয়েছে তা আমাদের জানা নেই। আমরা রেকর্ড বাতিলের জন্য মুন্সেফে মামলা করেছি। আমরা তিন ঘর পরিবার ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে আসছি।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি নূর ই আলম সিদ্দিকী জানান, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাগজপত্র দেখেছি। তোফাজ্জেল হোসেনের নামে ২টি রেকর্ড রয়েছে। হোল্ডিং, খারিজ খাজনা চলমান তাছাড়া জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান তাই আমরা এক্ষেত্রে কিছুই করতে পারবো না। আমরা কাগজপত্র মুন্সেফ আদালতে পাঠিয়েছি। আদালতের সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। তার বৈধ জমি থেকে উচ্ছেদ বা জবরদখল করাটাও ঠিক হবে না।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, চেংগাড়া গ্রামের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতের। উভয়পক্ষকে নিয়ে সমস্যাটার একটা সুরাহা করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
এনটি