জামালপুর: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে বকশীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা হলেও ধর্ষককে এখন পর্যন্ত আটক করতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনাটি চলতি মাসের ২০ তারিখে ঘটলেও প্রভাবশালীদের চাপের মুখে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার থানায় আসতে পারেনি। পরে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) থানায় অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক মামলা রেকর্ড করে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের ফরাজীপাড়া গ্রামের স্থানীয় ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর সঙ্গে ওই এলাকার শহিদুর রহমানের ছেলে একাদশ শ্রেণির ছাত্র আকাশ মিয়ার প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) আকাশ তার দাদার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে আকাশ পালিয়ে যান। কোনো উপায় না দেখে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক মামলা রেকর্ড করে। পরে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সোমবার জানান, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধর্ষক আকাশ মিয়াকে গ্রেফতারের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জামালপুর পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
এনটি