ঢাকা: দেশের মহাসড়কগুলোতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় অকালে মৃত্যুর কারণ জানালেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশন রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের লিখিত উত্তরে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মাত্রাতিরিক্ত গতি, পারস্পরিক প্রতিযোগিতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানো, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী ও পণ্য বহন করা, ট্রাফিক আইন, ট্রাফিক সাইন, ট্রাফিক সিগন্যাল ও লেন না মানার প্রবণতা, মহাসড়কে ধীরগতিসহ বিভিন্ন গতি সম্পন্ন ও অননুমোদিত যান চলাচল, অননুমোদিত ওভারট্রেকিং করা ও গাড়ি চালনা অবস্থায় মোবাইলফোনে কথা বলা।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যেসব পদক্ষেপের কথা সংসদে জানালেন ওবায়দুল কাদের।
সড়ক নিরাপত্তা বিধানে সরকার জনস্বার্থে ২২টি জাতীয় মহাসড়কে থ্রি হুইলার অটোরিকশা, অটো, টেম্পো এবং সব শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল ২০১৫ সালের ১ আগস্ট থেকে নিষিদ্ধ করেছে। মহাসড়কে চলন্ত গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে যথাক্রমে দূরপাল্লার বাস ও ট্রাকের নির্ধারিত নির্ধারিত গতিবেগ সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার ও ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। মোটরযানের গতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে গাড়ির স্পিড গর্ভনর সিল নিশ্চিত হয়ে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে। সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও দক্ষ গাড়িচালক তৈরির লক্ষ্যে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের আগে দুইদিন মেয়াদে রিফ্রেশার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৬১০৮ ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
এসই/এএটি