সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি এলাকায় ঘের দখলের লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত এক সার্জেন্টসহ তার পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মাসুদ (৩৮) নামে এক আসামিকে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলিপুর থেকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, আসামি মাসুদ আলিপুরে অবস্থান করছেন- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোম্পানি কমান্ডার সিনিয়র এএসপি বজলুর রশীদের নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল সেখানে অভিযান চালিয়ে মাসুদকে আটক করে।
মাসুদ সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার ৩ নম্বর মামলার (০৯/০১/২০২১) এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পৈত্রিকসূত্রে দেবহাটার বহেরা মৌজার ২ একর ৬৬ শতক জমি ভোগদখল করে আসছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট হায়দার আলী এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
২০১৭ সালে আলীপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল নামে এক ব্যক্তি ২৫-৩০ জন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় হায়দার আলী আদালতে একটি মামলা করেন। এ মামলায় সম্প্রতি হাইকোর্টও মোস্তাফিজুর রহমান মুকুলের বিপক্ষে রায় দিয়েছেন।
তারপরও মোস্তাফিজুর রহমান বকুল জমি দখলের জন্য তাদের গুলি করে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন।
গত ৮ জানুয়ারি সাবেক সেনা সদস্য হায়দার আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দার, তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা টুটুল, তার স্ত্রী সোনিয়া পারভিন এবং টুটুল-সোনিয়ার শিশুপুত্র শাফিন মোস্তাকিমসহ কয়েকজন ওই জমিতে অবস্থান করছিলেন। এসময় মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, তার ভাই বাবু, মাসুদ, তাদের সহযোগী জাহাঙ্গীর হোসেন, জাহাঙ্গীর, পুষ্পকাটির জসিম সরদার, আব্দুর রহিম, আব্দুর রকিব, মুজিবর রহমান ও জিয়ারুলসহ সাত-আটজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেন। এতে হায়দার আলী, তার স্ত্রী শিরিনা হায়দার এবং টুটুল, তার স্ত্রী সোনিয়া ও ছেলে শাফিন গুরুতর জখম হন। এ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের সেখান থেকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
এসআই