হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ডোবার পানিতে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় তানভীর হোসেন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জের নসরতপুর গ্রামে একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তানভীর নসরতপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে ও হবিগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটক যুবকরা খুনের কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতাররা হলেন- নিহতের প্রতিবেশী সৈয়দ আলীর ছেলে উজ্জ্বল মিয়া (২৬), শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে জাহিদ মিয়া (২২) ও একই গ্রামের মলা মিয়ার ছেলে শান্ত মিয়া (২১)।
পুলিশ জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তানভীর নিখোঁজ হয়। রাত ১০টায় তানভীরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে কল দিয়ে তার বাবাকে জানানো হয়- আপনার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে, ফিরে পেতে ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। এরে কিছুক্ষণ পরই তানভীরের বাবা থানায় এসে ঘটনা জানালে পুলিশ তদন্তে নামে।
পরদিন সন্দেহভাজন হিসেবে উজ্জ্বল, জাহিদ ও শান্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায়, তানভীরকে খুন করে বাড়ির পার্শ্ববর্তী ডোবার হাঁটু পানির নীচে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। তাদের কথামতো মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। মরদেহের বুকে ছুরিকাঘাত এবং গলা ও হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।
গ্রেফতারদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বাংলানিউজকে জানান, উজ্জ্বলের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তানভীরের পরিবারের বিরোধ ছিল। একাধিকবার তানভীরের পরিবারের সদস্যদের আচরণে উজ্জ্বল অপমাণ বোধ করেন। এ ক্ষোভ থেকেই অন্য দুই সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে তানভীরকে খুন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সন্ধ্যায় খুনের পর তারা তিন জন তানভীরের ব্যবহৃত মোবাইল নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলায় চলে যান। সেখানে গিয়ে নিহতের ফোন থেকেই কল দিয়ে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানায় তানভীরের বাবাকে। যেন তাদের কেউ সন্দেহ না করে সেজন্য তারা ৮০ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
আরএ