জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে পাওনাদারের কাছ থেকে টাকা তুলে দেওয়ার নাম করে এক গার্মেন্টস কর্মীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে এক ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একজন জনপ্রতিনিধির এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে স্থানীয়রা বাসিন্দাসহ জনপ্রতিনিধিরা।
জানা যায়, নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর গ্রামের বাসিন্দা ১০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর ৮ বছর ধরে ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। এরই সুবাধে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার নন্দইল গ্রামের জাহিদুল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইলে পরিচয়ের সূত্রে এবং বিয়ের আশ্বাস পেয়ে তাকে দেড় লাখ টাকা ধার দেন। কিন্তু এরপর জাহিদুল আর তাকে বিয়ে করেননি। উপায় না পেয়ে স্থানীয় ধরঞ্জী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর সাহাবুলের শরনাপন্ন হন ওই নারী। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার তাকে পাওনা টাকা তুলে দেওয়ার আশ্বাসে ঢাকা থেকে পাঁচবিবিতে ডেকে আনেন ওই মেম্বর। এরপর তার সহযোগী স্থানীয় দুদু মিয়ার বাড়িতে রেখে পালাক্রমে তাকে দুজনে ধর্ষণ করলে নির্যাতিতা নারী মঙ্গলবার রাতে পাঁচবিবি থানায় ওই দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ রাতেই তাদের গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
চলতি জানুয়ারি মাসেই এ উপজেলায় চারটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে উদ্বিগ্ন স্থানীয় নারী নেত্রী ও জনপ্রতিনিধিরা। তাদের দাবি এসব ধর্ষণকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক সচেতনা বাড়ারও পরামর্শও তাদের।
ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে বলে জানিয়ে পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে রাতেই অভিযুক্ত মেম্বরসহ তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় আসামিদের আদালতে এবং ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার ইউপি সদস্য জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মীর্জাপুর গ্রামের শরিফ উদ্দীনের ছেলে এবং দুদু মিয়া উত্তর বানিয়াপাড়া গ্রামের জোবায়দুর রহমানের ছেলে। দুই স্ত্রীর সংসারে সাহাবুল স্থানীয় ইউপি মেম্বরের পাশাপাশি একজন মৎস্যজীবী হিসেবেও পরিচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
এনটি