মৌলভীবাজার: ‘মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের ব্যাপারে আবারও ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন। এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বাংলানিউজকে এ কথা বলেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মীর নাহিদ আহসান।
তিনি বলেন, ‘বালু উত্তোলনের নিয়মনীতি না মেনে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে। নষ্ট হয়ে পড়ছে ভূমির প্রতিবেশ ব্যবস্থা। ধ্বংস হচ্ছে কৃষিজমি। জনসাধারণের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত রাস্তাঘাট ও সেতু ক্ষতিগ্রস্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। একাধিক মেশিনের সাহায্যে ক্রমাগত বালু উত্তোলনের ফলে কোনো কোনো ভূমিতে পুকুরের মতো বিশাল গর্ত হয়ে গেছে, যা প্রতিবেশ ব্যবস্থার মহাবিপর্যয়ের অংশ। ’
ডিসি বলেন, ‘গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের নভেম্বরে মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে নানা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমের ফলে সন্তোষ প্রকাশ করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আমাদের ধন্যবাদপত্র দিয়েছেন। ’
তিনি বলেন, ‘বালু উত্তোলনের নীতিমালা পরিপূর্ণভাবে পালন না করে যেখানে-সেখানে অবৈধ বালু উত্তোলন জলাধারসহ সড়ক, সেতুর জন্য মারাত্মক হুমকি। আপনারা লক্ষ্য করবেন, আমরা এ ব্যাপারে কোনো রকম ছাড় দেইনি। পরিবেশ ও প্রকৃতির স্বার্থে আগামীতেও অবৈধ বালু উত্তোলনে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। ’
৩১.০০.০০০০.০৫১.৬৮.০১৪.২০.৩৯ নম্বর স্মারকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জসিম উদ্দিন পাটোয়ারি স্বাক্ষরিত ধন্যবাদপত্রটি বুধবার (২৭ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়। সেখানে অবৈধ বালু উত্তোনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধও করা হয় ওই চিঠিতে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের নভেম্বরে মৌলভীবাজারের অবৈধ বালু উত্তোলনের একাধিক রিপোর্ট বাংলানিউজসহ অন্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২১
বিবিবি/এফএম