ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন দরকার: টিআইবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন দরকার: টিআইবি ড. ইফতেখারুজ্জামান

ঢাকা: দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক ধরনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন দরকার বলে মনে করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২০২০ সালে বাংলাদেশে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ অনুষ্ঠানে দুর্নীতি কমানোর সুপারিশমালায় এসব কথা বলেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।



প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে দুর্নীতির ধারণা সূচক প্রকাশ করে থাকে বার্লিনভিত্তিক ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, বিশ্বের শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় সর্বনিম্ন দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম। ২০১৯ সালের তুলনায় দুর্নীতিতে দুই ধাপ নিচে নেমেছে বাংলাদেশ।
আগের বছর অবস্থান ছিল ১৪তম।

দুর্নীতির ধারণা সূচকে (করাপশন পারসেপশন ইনডেক্স-সিপিআই ২০২০) বাংলাদেশের স্কোর ২৬। যা গত বছরও একই ছিল। দুর্নীতির তালিকায় সর্বোচ্চ থেকে গণনা করলে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম।

আর দুর্নীতি কমাতে হলে কারও প্রতি ভয় ও করুণা না করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যারা দুর্নীতি করেন তাদের কার্যকরভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে। বিশেষ করে যারা উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি করেন তাদের। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এক ধরনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন দরকার। রাষ্ট্রীয় অবস্থান, সরকারের অবস্থান নিজেদের সম্পদ বিকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই সংস্কৃতির রূপান্তর করতে হবে। এটি ছাড়া দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন বলে আমরা মনে করি।

তিনি আরও বলেন, সিদ্ধান্ত গ্রহণে যে স্বার্থের দ্বন্দ্ব বিরাজ করছে সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য (বিশেষ করে বেনামি বেসরকারি কোম্পানি) আইনি কাঠামো জোরদার করা দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য বাড়াতে হবে। বিচার ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন কমিশন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন ও জাতীয় সংসদ- এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা বাড়াতে হবে। দুর্নীতি দমন ও জনসেবায় সততা নিশ্চিত করতে হবে।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। সব ধরনের আর্থিক লেনদেনের অটোমেটিক ডাটা শেয়ারিংয়ের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যত লেনদেন হয় সেগুলোর অটোমেটিক তথ্য শেয়ারিং চালু হয়েছে। সেটিতে অংশগ্রহণের সুযোগ থাকার পরও আমরা এখনো নিতে পারিনি। আমাদের সরকার এটা করলে ব্যাংকিং সেক্টরে যত অনিয়ম, দুর্নীতি আছে সেটি নিয়ন্ত্রণ হবে। পাশাপাশি অর্থ পাচার ও কর ফাঁকি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। তথ্য প্রকাশ আরও বৃদ্ধি করতে হবে। ডিজিটাইজেশ আরও গভীর ও প্রশস্ত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২১
এসই/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।