ঢাকা: দেশের শতকরা ৮০ ভাগ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন নারী উদ্যোক্তারা। যার ফলে নারীরা আর্থিক স্বচ্ছলতা ও স্বাবলম্বীতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল যুক্ত হয়ে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগের পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জয়িতাকে দেশব্যপী ছড়িয়ে দিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারী বান্ধব বিপণী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও অনলাইন ভিত্তিক ই-কমার্সের যে জয় জয়কার, তার পেছনে রয়েছে জয়িতা কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন, সমঅধিকার-সম মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন কৌশল-নীতি এবং আইন প্রণয়ন করেছেন এবং তা বাস্তবায়ন করেছেন। যা নারীর ক্ষমতায়নে রোল মডেল সৃস্টি করেছে। যা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। সমতাভিত্তক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম, যা এশিয়াতে সর্ব শীর্ষে। যেখানে ভারতের অবস্থান ১১২তম। এখানেই কিন্তু শেষ নয়। আমেরিকা, জাপান, চীনসহ অনেক পরাশক্তির দেশও বাংলাদেশের পিছনে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীরা যোগ্যতার সাথে দেশের জন্য অবদান রাখছেন। তার প্রমাণ আমার পাশে বসে আছেন সিনিয়র সচিব, দুইজন অতিরিক্ত সচিব। এছাড়াও নারীরা এসপি, ডিসি, ভিসি, ওসি, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীতেও উচ্চ পদে বহাল আছেন। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী, স্পিকার নারী, সংসদ উপনেতাও নারী। যা সারাবিশ্বে বিরল। পুরুষের তুলনায় নারীরা এগিয়ে আছে। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি লেভেলে নারী শিক্ষার হার বেশি। নারী শিক্ষা বিশেষ অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে পিস ট্রি পুরস্কারের ভূষিত করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার বলেন, জয়িতা মানেই চোখে ভেসে উঠ্বে জয়ী নারীর প্রতিচ্ছবি। যারা সমাজের হাজারো নারীর এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করছে। সরকার নারী উন্নয়নের জন্য নারী বান্ধব কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করছে।
সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন; অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটাগরীতে ঢাকার মিরপুরের আয়শা জেসমিন, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারায়ণগঞ্জের ড. জেবউননেছা, সফল জননী ক্যাটাগরীতে শরিয়তপুরের ছৈয়দা রিজিয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা টাঙ্গাইলের রবিজান এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় ঢাকা জেলার দোহারের লাইলী বেগম।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা টাঙ্গাইলের রবিজানের সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের নগদ অর্থ তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো: খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
জিসিজি/এসএমএকে/এমএমএস