সিলেট: নগরের অভিজাত এলাকা উপশহর। আলিশান এলাকা বলেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও বিত্তবানদের বসবাস।
অভিজাত খ্যাত এলাকায় পুলিশের নজর আন্দাজ না পড়লেও এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ‘র্যাব’ চোখ ঠিকই পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই উপশহর এলাকা থেকেই প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ইয়াবাসহ আটক করে র্যাব। তার কাছ থেকে ২৮ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবার চালান জব্দ করা হয়। আটক করা হয় চৌধুরী পরিবারের গৃহবধূ রোকসানা আক্তারকে (৩৬)। আটক রোকসানা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার এওলাসার গ্রামের আব্দুল হামিদ চৌধুরীর স্ত্রী। উপশহরের এ ব্লকে বসবাসরত জনৈক সাংবাদিকের বাসার ৪র্থ তলার ফ্লাটে থেকে ওই নারীকে আটক করা হয়।
র্যাব-৯ এর এএসপি ওবাইন রাখাইনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানা গেছে, র্যাব-৯’র অধিনায়ক লে. কর্ণেল আবু মুছা মো. শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানে অংশ নেন উপ-অধিনায়ক মেজর শওকত মোনায়েম, এএসপি কামরুজ্জামান ও আব্দুল্লাহ। আটককৃত রোকসানাকে মাদক আইনে মামলা দায়েরক্রমে এসএমপি’র শাহপরাণ (র.) থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাবের দায়ের করা মামলার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোকসানা ও তার ভাই মিলে জকিগঞ্জ সীমান্ত থেকে ইয়াবার চালান এনে শহরে ব্যবসা করতেন। অভিযানকালে ওই নারীর ভাই পালিয়ে যান। গ্রেফতারের স্বার্থে আপাতত তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রোকসানা ও তার ভাই ৪দিন আগে ওই সাংবাদিকের বাসভবনের ৪র্থ তলার একটি ফ্লাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। অভিজাত এলাকায় ইয়াবা’র বিশাল চালান আটক হওয়াতে উপশহর ঘিরে এখন সমালোচনার ঝড় নগরজুড়ে। আর জকিগঞ্জ টু সিলেট নগরের উপশহর ইয়াবার সূত্রিতা খুঁজতে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন এসএমপির শাহপরান (র.) থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। এদিকে, অভিযানের পর বসে নেই র্যাব’র চৌকুস দল। পলাতক আসামিকে ধরতে এবং ইয়াবা’র নেটওয়ার্ক ধরে অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৫ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২১
এনইউ/এমএমএস