ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘মনের সব বিভ্রান্তি মুছে করোনার টিকা নিন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
‘মনের সব বিভ্রান্তি মুছে করোনার টিকা নিন’

ঢাকা: 'করোনা ভাইরাসের টিকার (কোভিশিল্ড) ব্যাপারে যত বিভ্রান্তি রয়েছে, মন থেকে সেসব মুছে ফেলে সবাই টিকা নিন। দেশের সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন৷ টিকা (ভ্যাকসিন) নিয়ে বাংলাদেশকে করোনামুক্ত করুন।

'

পুলিশ বাহিনীর মধ্যে প্রথম করোনার টিকা নিয়ে জনগণের উদ্দেশে এ আহ্বান জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক (মতিঝিল) বিভাগের সার্জেন্ট মো. দিদারুল ইসলাম।

বুধবার গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আয়োজিত টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন শেষে পুলিশ বাহিনী থেকে প্রথম সদস্য দিদারুল ইসলাম কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ নেন।  

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাত পর্যন্ত পুলিশের এ ট্রাফিক সার্জেন্ট সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক ও সুস্থ আছেন। তার শরীরে কোনো ধরনের অস্বস্তি বা অস্বাভাবিক কোনো লক্ষণ এখনও দেখা দেয়নি বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন দিদারুল ইসলাম।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ট্রাফিক সার্জেন্ট দিদারুল ইসলাম শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) মর্নিং সিফটে ডিউটি করেছেন।

ট্রাফিক সার্জেন্ট দিদারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এখনো সুস্থ ও ভালো আছি। টিকা নেওয়ার পর আজই (শুক্রবার) ডিউটিতে জয়েন করেছি। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ডিউটি করেছি শান্তিগনর মোড়ে। কোনো অসুবিধা অনুভব করিনি। ’

তিনি বলেন, 'করোনার টিকা নেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী যখন টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করছিলেন, তখনও আমি নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু যখন আমার নাম ঘোষণা করা হয়, তখন আমি সাহস নিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করি। এরপর আধাঘণ্টা চিকিৎসকদের অবজারভেশনে ছিলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে, ওই আধাঘণ্টায় আমি অন্যান্য সময়ের মতই স্বাভাবিকই ছিলাম। কোনো সমস্যা হয়নি। ' 

‘করোনার টিকা নিয়ে অনেকের মনে কিছু বিভ্রান্তি রয়েছে। আমি জনগণের উদ্দেশে বলতে চাই, করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে মনে যত বিভ্রান্তি রয়েছে, তা সব মুছে ফেলুন। সবাই টিকা নিন। দেশের সরকারের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন৷ এ টিকা নিয়ে বাংলাদেশকে করোনামুক্ত করুন,' যোগ করেন তিনি।  

তরুণ প্রজন্মের প্রতি টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যখন করোনা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পরেছিল, সে সময় আমি দায়িত্ব পালন করেছি। তখন অনেক ভয় নিয়ে সড়কে কাজ করছিলাম। তখন মনে মনে ভাবতাম এ মহামারি প্রতিরোধের জন্য কবে টিকা আবিষ্কার হবে? মনে থাকা ওই প্রশ্নের অবসান ঘটেছে। টিকা এখন বাংলাদেশে প্রবেশও করেছে। এরপর টিকা নিতে কিছুটা ভয় মনে থাকলেও পিছপা হইনি৷ কারণ ভয়কে জয় করতে পারলেই সাফল্য আসে। আমি মনে করি, অচিরেই বাংলাদেশ করোনামুক্ত হয়ে যাবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
এসজেএ/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।