ঢাকা: পাবলিক হেলথ যে ধরনের গুরুত্ব পাওয়ার কথা, সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি না বলে উল্লেখ করেছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার পত্রিকা আয়োজিত ‘ইপি টকস অন এয়ারপলুশন ইন ঢাকা প্রবলেম অ্যান্ড মিটিগেশন মেজার’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে তিনি এ কথা উল্লেখ করেন।
এদিন রাত ৯টার দিকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার পত্রিকার এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, পাবলিক হেলথ যে ধরনের গুরুত্ব পাওয়ার কথা, সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমরা স্বাস্থ্য বলতে হাসপাতাল নির্মাণ, ডাক্তার, নার্স নিয়োগকে মনে করছি। পাবলিক হেলথের দুনিয়াটা সেভাবে অ্যাড্রেস করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, করোনা নিয়ে আমরা এতো শোরগোল করছি। সেই করোনায় এখন পর্যন্ত ৮ থেকে ৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন। ৮ থেকে ৯ হাজারের জন্য সবকিছু স্থবির করে দিয়েছিলাম। শিল্প কারখানা, স্কুল, কলেজ, মসজিদ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ভ্যাকসিনের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছি। আমেরিকান একটি সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে পরিবেশ দূষণের কারণে ২০১৯ সালে ১ লাখ ৭৩ হাজার লোক মারা গেছে। অথচ সাইলেন্স কিলার পরিবেশ দুষণ নিয়ে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছি না। পরিবেশের প্রতি করোনার চেয়ে আরও দশ থেকে বিশ গুণ মনোযোগ দেওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, ঢাকার পরিবেশ দুষণের জন্য ইট ভাটাকে চিহ্নিত করলাম, এখন কেনো ব্যবস্থা নিচ্ছি না। সরকারের কোন মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দিবো। সামগ্রিকভাবে পাবলিক হেলথের বিষয়ে ফোকাস দেওয়া দরকার। এক নম্বর মনোযোগ হওয়ার বিষয়। করোনায় বিশেষ তহবিল গঠন করেছি, সাইলেন্স কিলার তামাকও সেই সুবিধা নিচ্ছে। দ্বৈত নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। যখন আমরা এয়ার কোয়ালিটির কথা বলি, ইনডোর এবং আরেকটি আউটডোর। ইনডোরের কোয়ালিটি নিয়ে একটি খসড়া আনেক আগে তৈরি করেছি। এখন কথা হচ্ছে নতুন হবে নাকি পরিবেশ আইনের সঙ্গে সংযোজন করা হবে। এটাই অগ্রাধিকার হওয়ার কথা, এটিতো অর্ডিন্যান্স করে করা উচিত। পরিবেশ অধিদপ্তরের জনবলের ঘাটতি রয়েছে, রাজনৈতিক চাপও থাকে, তারমধ্যেও কাজ করে যাচ্ছে।
পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কারণেও বাতাস দুষণ হয়, দুষণ রোধের জন্য বাজেট থাকে। কিন্তু সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। বিদেশি ঠিকাদাররা অন্যান্য দেশে কিভাবে কাজ করে। আমাদের এখানে কেন বাস্তবায়ন করতে পারছি না। আমরা যদি পাবলিক হেলথ পলিসির বিষয়টি না দেখি, তাহলে একটি পলিসি সেল থাকলে, সবকিছু তার মধ্যে থাকতে পারবে। আমি মনে করি উন্নয়ন এবং পরিবেশ একসঙ্গে রক্ষা করা সম্ভব।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন, বিদ্যুৎ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি ড. সুলতান আহমেদ, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের কন্ট্রিবিউটিং এডিটর প্রকৌশলী খন্দকার আব্দুস সালেক সুফী, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইজাজ হোসেন, ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটির সাবেক নির্বাহী পরিচালক এসএম সালেহউদ্দিন, আদ্-দ্বীন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. মাহমুদা হাসান, খনি প্রকৌশলী ড. মসফিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২১
আরকেআর/এমআরএ