পাথরঘাটা (বরগুনা): সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় মাছ ধরার সময় জেলে বহরে হামলা করে শ্বাসশ্ত দস্যু বাহিনী। এসময় ওই ট্রলারে থাকা ১৪ জেলেকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে এবং ট্রলারে থাকা ৫ লাখ টাকার মাছ ও রসদ সামগ্রী নিয়ে যায়।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এফবি রুদ্র ট্রলারের মালিক ও মাঝি বাদল মোল্লা।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মান্দারবাড়িয়া এলাকায় এফবি বাবুল ট্রলারে হামলা চালিয়ে সর্বোচ্চ লুটে নিয়ে মো. নামে এক জেলেকে গুলি করে হত্যা করে দস্যু বাহিনী। দস্যুদের গুলিতে মো. মুসা মিয়া নামে এক জেলের মৃত্যু হয়। এসময় ওই ট্রলারে থাকা বেশ কয়েকজন জেলে আহত হয়েছে। মৃত্যু জেলের নাম মো. মুসা। উপজেলার চরলাঠিমারা গ্রামের মো. হারুন মিয়ার ছেলে।
>>> বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের গুলিতে জেলে নিহত
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের মো. বাবুল ফকিরের মালিকানা এফবি বাবুল ট্রলারের ১২ জন জেলে সুন্দরবনসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় জাল ফেলে অপেক্ষা করছিল। রাত ৯টার দিকে হঠাৎ জেলে বহরে ২৫-৩০ জনের সশস্ত্র দস্যু বাহিনী হামলা করে। এসময় ওই ট্রলারে থাকা মাছ রসদ সামগ্রীসহ সর্বস্ব লুটে নিয়ে যায় পরে ১২ জেলেকে সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি ছোড়ে এসময় মুসা মিয়া নামে এক জেলের মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে দস্যুবাহিনী দ্রুত ট্রলার চালিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ওই ট্রলারের মাঝি ও মালিক বাবুল ফকির বরাত দিয়ে মোস্তফা চৌধুরী আরো বলেন, ওই দস্যু বাহিনী সাতক্ষীরার অঞ্চলের হবে। মুসার মরদেহ নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের পশ্চিম জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট লুৎফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এরকমের একটি খবর শুনেছি তাৎক্ষণিক আমাদের ফোর্স পাঠানো হয়েছে।
এদিকে মুসার মৃত্যুর খবর শুনে বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
এনটি