ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বলাৎকারে বাধা দেওয়ায় শিশু তামিমকে হত্যা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
বলাৎকারে বাধা দেওয়ায় শিশু তামিমকে হত্যা

খুলনা: খুলনায় মাদ্রাসা ছাত্র তামিম মোল্লাকে (৭) হত্যার প্রায় ৯ মাস পর খুনী গ্রেফতার হয়েছে। উদঘাটিত হয়েছে রহস্য।

বলাৎকারে বাধা দেয়ায় শিশুটিকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে ওবাইদুল্লাহ ওরফে ওবাই (২৫) ।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) খুলনা জেলা ইউনিট প্রধান পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার শিশু তামিম মোল্লা হত্যাকান্ডের প্রায় ৯ মাস পর আসামি ওবাইদুল্লাহ ওরফে ওবাই শেখকে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টায় দিঘলিয়ার লাখোহাটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ওবাই শেখ। বলাৎকার করতে বাঁধা দেওয়া পানিতে চুবিয়ে তামিমকে হত্যা করা হয়। পরে তামিমের জামা-কাপড় দিয়ে হাত-পা বেধে মরদেহ বিলের মধ্যে ফেলে দেয়। খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুজ্জামান এই জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আটক ওবাইদুল্লাহ ওরফে ওবাই শেখ দিঘলিয়া উপজেলার লাখোহাটি গ্রামের আসলাম শেখের ছেলে। অন্যদিকে শিশু তামিম একই গ্রামের তরিকুল মোল্লার ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই খুলনার পুলিশ পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস জানান, চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে শিশু তামিম মোল্লা মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। রাত সাড়ে ৮টায় তামিম ফিরে না আসায় তামিমের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করে। পরের দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি লাখোহাটি গ্রামের গোয়ালাবাদ বিলের ভেতর হাত পা বাধা অবস্থায় তামিমের মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় তামিমের মা জাহানারা বেগম কলি বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। দিঘলিয়া থানা পুলিশ ওই সময় দুই জনকে আটক করলেও মামলার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। থানা পুলিশের তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

পুলিশ পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন বিশ্বাস জানান, পিবিআই দায়িত্ব পাওয়ার পর অনুসন্ধান চালিয়ে ওবায়দুল্লাহ ওরফে ওবাইকে গত ১৬ নভেম্বর আটক করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওবাই শেখ জানিয়েছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ওবাই ও শিশুরা স্কুল মাঠে ফুটবল খেলছিলো। খেলার এক পর্যায়ে একজন ঢিল ছুড়লে ওবাই তাকে ধরতে বিলের দিকে দৌঁড় দেয়। শিশু তামিমও তার পিছু পিছু যায়। সেখানে গিয়ে ওবাই শেখ তামিমকে বলৎকারের চেষ্টা চালায়। তামিম চিৎকার করলে ওবাই শেখ বিলের মধ্যে তামিমকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে মরদেহের মুখের মধ্যে কলাপাতা ঢুকিয়ে গায়ে থাকা কাপড় দিয়ে পেচিয়ে ডোবায় ফেলে দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে ওবাই জানিয়েছে, এর আগে ৩টি ছাগলের সঙ্গে বলৎকার করে সেগুলো পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলেছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
এমআরএম/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।