বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাসনা শারমিন মিথি। আগে মেয়রের পরে মর্যাদার দিক থেকে ছিলেন একজন সচিব।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে গত ১ ডিসেম্বর যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নিয়োগ দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের তাদের পদের পাশে উল্লেখিত পৌরসভায় নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং খুব দ্রুত রাসনা শারমিন মিথি বেনাপোল পৌরসভায় যোগদান করবেন বলে জানা গেছে। এবং খুব দ্রুত তিনি বেনাপোল পৌরসভায় যোগদান করবেন।
দেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা সংস্কার ও ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দেশের প্রথম শ্রেণির পৌরসভাগুলোতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
দেশের অধিকাংশ পৌরসভার আয়ের ঘাটতি থাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা অনিয়মিত। রাজস্ব আদায়ের অনেক ক্ষেত্র থাকার পরেও পৌরসভাগুলোর আয় বাড়ছে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধান নির্বাহী না থাকায় পৌরসভার আয় বাড়ানোসহ প্রশাসনিক কাজে বিঘ্ন হচ্ছিল। পৌরসভার কার্যক্রমকে শৃঙ্খলায় আনতে প্রধান নির্বাহী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
জানা যায়, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বেনাপোল ইউনিয়নের ১১টা গ্রামের অংশ নিয়ে (৮.৬০ বর্গ মিটার আয়তনে) বেনাপোল তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করেন। ২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিল থেকে বেনাপোল পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএনপি নেতা শামছুর রহমান। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাকে সরিয়ে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বশীর আহমদকে প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ড. আব্দুল হাকিম, কামরুল আরিফ। ২০১০ সালের ১ ডিসেম্বর তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয় বেনাপোল পৌরসভাকে।
এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি বেনাপোল পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আলম লিটন। ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বেনাপোল পৌরসভা প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পান স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে। ৫ বছর পর ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও সীমানা সংক্রান্ত মামলায় ঝুলে আছে নির্বাচন। ৬ বছর ১১ মাসেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এনটি