ঢাকা: আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও জাপান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের অফিসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে ক্রমাগত সম্প্রসারিত দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে ঢাকা ও টোকিও উভয় স্থানেই অনুষ্ঠান আয়োজনে তারা সম্মত হন।
বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত আশা করেন, কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২২ সালে জাপানে একটি সরকারি সফর করবেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের প্রতি জাপানের সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীতে ২০২২ সালে মেট্রোরেল লাইন-৬ এর উদ্বোধন একটি উপযুক্ত ইভেন্ট।
জাপানি রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, আড়াই হাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে আগামী বছর থেকে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জাপানি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ দেখা যাবে।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে অব্যাহত উন্নয়ন সহায়তার জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি দুই দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বাংলাদেশে আরও জাপানি বেসরকারি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন।
বৈঠকে শাহরিয়ার আলম বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি অব্যাহত সহায়তার জন্য জাপান সরকারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন অপরিহার্য। তিনি রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমারে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে জাপানের প্রতি আহ্বান জানান।
জাপানের রাষ্ট্রদূত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে অব্যাহত সমর্থনের জন্য জাপান সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২১
টি আর/এসআই