জামালপুর: জামালপুরের সরিষাবাড়ীর যমুনা সার কারখানা থেকে ২০ হাজার টন ইউরিয়া সার গায়েব হয়েছে। এ ঘটনায় যমুনা সার কারখানার তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তসহ বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শা মো. ইমদাদুল হক স্বাক্ষরিত এক অভিযোগ পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
সার গায়েব ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন- সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) খোকন চন্দ্র দাস, জেএফসিএল রসায়নবিদ নজরুল ইসলাম ও বাণিজ্যিক শাখায় (বিক্রয় বিভাগ) ব্যবস্থাপক ওয়ায়েছুর রহমান।
যমুনা সার কারখানার একটি সূত্র জানায়, কারখানায় উৎপাদিত সারের গুদাম-১ ও আমদানি সারের গুদাম-২ সহ বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত সারের ব্যাগ রক্ষণাবেক্ষণ ও বিতরণের দায়িত্বে আছেন ওয়ায়েছুর রহমান। হঠাৎ কারখানায় উৎপাদিত সারের মজুতের হিসাবে ২০ হাজার টন সারের গরমিল পাওয়া যায়। যার আর্থিক ক্ষতি ধরা হয় ৩০ কোটি ২৬ লাখ ৬৩৬ টাকা। সার আত্মসাতের অভিযোগে বিসিআইসি গত ২৬ সেপ্টেম্বর ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রাথমিক তদন্ত কমিটি গঠন করে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে এ কমিটি সরেজমিনে তদন্তকাজ শুরু করে। ওই সময় কারখানার গুদামে রক্ষিত উৎপাদিত সারের ব্যাগ ও বাল্ক স্টোরে লুজ সারের পরিমাপ করা হয়। পরে হিসাবে ১৯ হাজার ১৩৩ দশমিক ১৩ টন সার ঘাটতি পাওয়া যায়। প্রায় ২০ হাজার টন সার আত্মসাতের দায়ে কারখানার বিক্রয় শাখার প্রধান ওয়ায়েছুর রহমানকে অভিযুক্ত করে তদন্ত কমিটি।
তবে সার আত্মসাতের অভিযোগটি অস্বীকার করে ওয়ায়েছুর রহমান জানান, যমুনা সার কারখানা থেকে সার আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। কারখানায় গোডাউন না থাকায় বিভিন্ন সময়ে রোদ-বৃষ্টিতে বিপুল পরিমাণ সার নষ্ট হওয়াতে প্রকৃত হিসেবে গড়মিল হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এনএইচআর