ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জুতায় ভাগ্য ফিরছে সৈয়দপুরের কারিগরদের 

মো. আমিরুজ্জামান ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২১
জুতায় ভাগ্য ফিরছে সৈয়দপুরের কারিগরদের 

নীলফামারী :নীলফামারীর সৈয়দপুরে পাদুকা শিল্প সম্প্রসারিত হচ্ছে। এতে বেকাররা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি আর্থিক স্বাবলম্বীর পথে হাঁটছেন কারিগররা।

দেখতে সুন্দর, পড়তে আরামদায় এসব জুতা, স্যান্ডেল স্থানীয় চাহিদা মেটাচ্ছে। নিরাপত্তা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে এখানকার জুতা শিল্প।  

শহরের ইসলামবাগ চিনি মসজিদ মোড় এলাকায় পাশাপাশি প্রায় ১৫টি ছোট ছোট জুতার দোকান ঘর। সেগুলোতে কেউ কেউ জুতা-স্যান্ডেল তৈরি করছেন আবার কেউবা বিক্রি করছেন। জুতা-স্যান্ডেল কেনার জন্য নানা বয়সী মানুষের ভিড়  দোকানগুলোতে। সেনাবাহিনী, পুলিশসহ প্রশাসনের লোকজনকেও গাড়ি থামিয়ে সেখান থেকে জুতা কিনছেন।

আকবর আলী নামে  পুলিশ সদস্য এক ক্রেতা জানান, তিন বছর আগে এখান থেকে একজোড়া জুতা নিয়েছিলাম। বেশ টেকসই আর আরামদায়ক।  বগুড়ায় বদলি হয়েছি। ছুটিতে এসে এখান ছেলে ও আমার জন্য দুই জোড়া জুতা কিনতে এসেছি। প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করা ইব্রাহিম হোসেন বলেন, এখানকার তৈরি জুতা টেকসই ও আরামদায়ক। তাই রংপুর থেকে এখানে কিনতে এসেছি।  

একরাম হোসেন নামের এক কারিগর জানান, ভৈরবে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসে ৫০ হাজার টাকায় এ ব্যবসা শুরু করি। আমার এ কারখানায় বর্তমানে ১০ জন কাজ শ্রমিক কাজ  কারছেন। তিনি বলেন, যেকোনো ডিজাইনের হুবুহু  জুতা  বানিয়ে দিতে পারেন তারা।  

উত্তরের ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র সৈয়দপুরে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় মিলিয়ে ৫০০ বেশি জুতা তৈরির কারখানা। প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক এ জুতা শিল্পে জড়িত। জুতার ব্যাগ, চামড়া, রেক্সিন, ফোম, হিল, কভার, সুতা, বোতামসহ ব্যাকওয়ার্ড শিল্প নিয়েও গড়ে উঠেছে অন্তত ৩০০ বেশি দোকান ও কারখানা। সেখানেও কাজ করছে ২ থেকে ৪ হাজার শ্রমিক। পাশাপাশি কয়েকশ বিক্রয় কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। জুতা কারখানাগুলো শতভাগ হাতের দ্বারা পরিচালিত। মোটামুটি ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা বিনিয়োগেই গড়ে উঠেছে কারখানাগুলো।

এই জুতা শিল্পে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সহজ শর্তে ঋণদানে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন সচেতনমহল। তারা বলেন, সৈয়দপুরে উপজেলা শহর হলেও এখানে রয়েছে প্রায় ৩৫টির মতো ব্যাংকের শাখা। এসব ব্যাংক একটুখানি সহযোগিতার হাত বাড়ালে দাঁড়িয়ে যেতে পারে সৈয়দপুরের পাদুকা শিল্প।  

এ প্রসঙ্গে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রাবেয়া আলীম বলেন, এখানকার তৈরি ঝুট কাপড়ের তৈরি গার্মেন্টস পণ্য পণ্য বিদেশে যাচ্ছে। তেমনিভাবে এখানকার জুতা শিল্পেও সম্ভাবনা রয়েছে। জুতার কারিগরদের কর্ম উদ্দীপনা সেটিই বলছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২১ 
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।