ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

১০ বছর পর চট্টগ্রাম-বরিশাল রুটে যাত্রীবাহী জাহাজ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
১০ বছর পর চট্টগ্রাম-বরিশাল রুটে যাত্রীবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম-বরিশাল রুটে যাত্রীবাহী জাহাজ। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: দীর্ঘ ১০ বছর পর বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করেছে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা সমুদ্রগামী যাত্রীবাহী জাহাজ এমভি তাজউদ্দিন আহমেদ।

আবারও নিয়মিত রুট চালুর অংশ হিসেবে পরীক্ষামূলকভাবে শুক্রবার ভোর ৫টায় বরিশাল বিআইডব্লিটিসি ঘাটে নোঙর করে জাহাজটি।

পরবর্তীতে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বরিশাল থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে জাহাজটি।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করে জাহাজটি। শুক্রবার ভোর ৫টায় জাহাজটি বরিশাল নদী বন্দরে নোঙর করে। ঘণ্টায় ১৮.৫২ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন জাহাজটি ১২ ঘণ্টায় প্রায় পৌনে ৩শ কিলোমিটার উপকূলীয় নৌপথ পাড়ি দিয়ে বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছার কথা থাকলেও এটি বরিশালে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগে।

যাত্রাপথের মাঝে হাতিয়ায় এক ঘণ্টার যাত্রা বিরতি এবং ভোলার ইলিশার চর গজারিয়া সংলগ্ন মেঘনায় নাব্যতা সংকটের কারণে দুই দফায় ৩ ঘণ্টার মতো নোঙর করে ছিল জাহাজটি।

প্রায় ১৯৭ ফুট দৈর্ঘ ও ৩৯.৩৬ ফুট প্রস্থ বিশিস্ট নৌযানটিতে বিআইডব্লিউটিসি এবং বিঅইডব্লিউটিএর বাণিজ্য, মেরিন ও প্রকৌশল শাখার বেশ কিছু কর্মকর্তা রয়েছেন।

পরীক্ষামূলক এই ট্রিপের ফলাফল বিশ্লেষণসহ সব কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা করে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলীয় যাত্রীবাহী সার্ভিসটির সময়সূচি ও যাত্রী ভাড়া নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল অফিস প্রধান কে এম ইমরান।

তবে সার্ভিসটি কবে থেকে নিয়মিত বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটে বাণিজ্যিক সেবা শুরু করবে সে সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।

জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান শিপিং করপোরেশন পশ্চিম জার্মানি থেকে সংগ্রহ করা ৪টি নৌযানের সাহায্যে বরিশাল-নারায়গঞ্জ-চট্টগ্রাম ও বরিশাল-হাতিয়া-সন্দীপ-চট্টগ্রাম রুটে উপকূলীয় যাত্রীবাহী স্টিমার সার্ভিস চালু করে। ওইসব নৌযানের মধ্যে ‘এমভি মনিরুল হক’ ও ‘এমভি আবদুল মতিন’ ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে পুনর্বাসনও করা হয়। কিন্তু নানান কারণে ওইসব নৌযান সার্ভিসটি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ২০১১ সালের মধ্যভাগে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলীয় সার্ভিসটি বন্ধ হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উপকূলীয় নৌ যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে ৭শ’ ও ৫শ’ যাত্রী ধারণক্ষমতায় দুটি উপকূলীয় নৌযান সংগ্রহের লক্ষে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিপিপি একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। এক বছর পর ৭শ’ যাত্রী বহন ক্ষমতাসম্পন্ন উপকূলীয় নৌযান এমভি তাজউদ্দিন আহমদ নির্মাণের লক্ষে বিআইডব্লিউটিসির সঙ্গে ‘থ্রি এ্যাংগেল মেরিন লিমিটেড অ্যান্ড দি কুমিল্লা শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড জেভির সঙ্গে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এরপর গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘এমভি তাজউদ্দিন আহমদ’ নামে এই জাহাজটির আনুষ্ঠনিক উদ্বোধন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
এমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।