ঢাকা: চলতি বছরের নভেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও নটরডেম কলেজের ২ জনসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫৪ জন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সংগঠনটি সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
সংগঠনটি জানায়, নভেম্বর মাসে দেশে ৩৭৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় মোট নিহত হয়েছে ৪১৩ জন এবং আহত হয়েছে ৫৩২ জন। নিহতের মধ্যে নারী ৬৭ জন এবং শিশু ৫৮ জন এবং শিক্ষার্থী ৫৪ জন। এছাড়া এই সময়ে শুধুমাত্র ঢাকায় ১৪টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৬ জন।
এর আগে, ২৪ নভেম্বর (বুধবার) রাজধানীর গুলিস্তানে সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নাঈম হাসান (১৭) নামে নটরডেম কলেজের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়। নাঈম হাসানের বাবার নাম মো. শাহ আলম দেওয়ান ও মা জান্নাতুল ফেরদৌস। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কাজিরখিল দেওয়ানবাড়ী গ্রামে।
দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি; এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে উল্লেখ করেছেন।
এ বিষয়ে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির হার ঊর্ধ্বমুখী হলেও এটা নিয়ন্ত্রণে সরকারের তেমন কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মূলত সড়ক পরিবহনখাতের নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনার কারণে। এই অবস্থার উন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছার ঘাটতি রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
এইচএমএস/এএটি