ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলাবাজার রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
বাংলাবাজার রুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি

মাদারীপুর: বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা এবং চলাচলের সময় স্বল্পতার কারণে প্রতিদিন অসংখ্য গাড়ি ফেরি পার হতে ব্যর্থ হচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেও বিকেল সাড়ে চারটায় সর্বশেষ ফেরি উঠতে না পেরে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটের উদ্দেশে ছুটতে হয় গাড়িগুলোর।

এই অবস্থায় ভোগান্তি দূর করতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানান যানবাহন চালকেরা। একই সঙ্গে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ফেরি সার্ভিস চালু রাখারও দাবি জানান তারা।  

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে ফেরিতে উঠতে না পেরে বিকল্প রুটের উদ্দেশে যাওয়ার সময় যানবাহনের চালকেরা এ কথা বলেন।  

ঘাটে আটকে থাকা বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, পিকআপের চালকেরা বলেন, দুই দফায় দীর্ঘদিন এই নৌরুটে বন্ধ ছিল ফেরি চলাচল। অবশেষে ফেরি সার্ভিস চালু হলেও মাত্র ৪টি ফেরি চলছে। তাও সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এই স্বল্প সময় এবং ফেরির সংখ্যা কম থাকায় ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছেই। ট্রাফিক পুলিশদের ম্যানেজ করে এক শ্রেণির ব্যক্তিরা ‘ভিআইপি’ বলে দ্রুত ফেরিতে উঠতে পারছে। আর যাদের ‘ফোন’ করে বলার মতো কেউ নেই, তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালে বন্দি থাকতে হচ্ছে। এই দুর্ভোগ কাটাতে বাড়তি ফেরির কোনো বিকল্প নাই বলে চালকেরা জানান।

বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে স্রোতের তীব্রতার কারণে পদ্মাসেতুর পিলারে একাধিকবার ফেরির ধাক্কা লাগে। এরপর থেকেই ফেরি চলাচল ব্যহত হতে থাকে। দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর টানা ৪৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৫ অক্টোবর সীমিত আকারে ফেরি চালু হয়। মাত্র ৬ দিন চলার পর স্রোত বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে আবারো ফেরি বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ। টানা ২৮ দিন বন্ধ থাকার পর গত ৮ নভেম্বর থেকে পুনরায় ফেরি চালু হয় বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। তবে সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাত্র ৪টি ফেরি চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং ভারী যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখে শুধু হালকা যানবাহন পার করা হয়।

মাইক্রোবাস চালক মো. গিয়াসউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন নদীতে স্রোত নাই। পুরো নৌপথ স্বাভাবিক। তারপরও মাত্র ৪টি ফেরি চলছে। ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হলে আমাদের ভোগান্তি কমবে।

শরিয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থেকে আসা এক প্রাইভেটকার চালক বাংলানিউজকে বলেন, সিরিয়ালে ৪ ঘণ্টা আটকে থেকেও ফেরিতে উঠতে পারিনি। অথচ বিকেল সাড়ে ৪টায় ফেরি বন্ধ হয়ে যাবে। ফেরি চলাচলের সময় ও সংখ্যা না বাড়ালে দুর্ভোগ দূর হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পিকআপ চালক বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ১০টায় এসে সিরিয়ালে রয়েছি। ‘ম্যানেজ’ করে যেতে পারতাম। অনেকেই যায়। তবে আয়-রোজগার কম। তাই বাড়তি পয়সা খরচ করতে চাইনি।

বিআইডব্লিউটিসি’র বাংলাবাজার ঘাটেরসহ ব্যবস্থাপক সামসুল আবেদীন বাংলানিউজকে জানান, নৌরুটে ফেরির সংখ্যা ও সময় বাড়ানোর কোনো নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। সময় এবং ফেরি স্বল্পতার কারণে ঘাটে চাপ একটু বেশি। আমরা সিরিয়াল মতোই ফেরিতে গাড়ি উঠাই। কোন বিশৃঙ্খলা নেই এখানে।  

>>> ফেরিঘাট: 'ভিআইপি' ফাঁদে সাধারণের ভোগান্তি!

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।