টাঙ্গাইল: ছেলে জন্মের পর বাবার ইচ্ছে ছিল হেলিকপ্টারে করে ছেলের বউ আনবেন কৃষক বাবা। বিষয়টি প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনরা শোনার পর বিশ্বাস করেননি।
এই বিয়েকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িসহ আশপাশের গ্রামজুড়ে ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। ছিল বাদ্যের ঝংকার, হরেক রকম খাবারের আয়োজন।
জানা যায়, বাউসাইদ গ্রামের কৃষক মহির উদ্দিনের একমাত্র ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাটাজোর গ্রামের মুন্নু খার মেয়ে মিতু আক্তারের সঙ্গে আড়াই মাস আগে কাবিন হয়। রাসেল মিয়া কৃষি কাজ করেন। দুপুরে ছেলের বাড়ির পাশে কৃষি জমিতে হেলিকপ্টার আসে। পরে বর নিয়ে বাটাজোর যায়। সেখান থেকে কনে নিয়ে বিকেলে ফিরে আসে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
বরযাত্রীরা দুটি প্রাইভেটকার ও একটি বাসে চড়ে কনে বাড়ি গেলেও বর যায় হেলিকপ্টারে চড়ে। প্রত্যন্ত গ্রামে হেলিকপ্টারে বর আসাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। এই আয়োজনে কোনো কমতি রাখেনি বাবা। যা প্রশংসা কুড়িয়েছে আগত সকলের। ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন সামাল দিতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় পুলিশের টিম।
৮০ বছরের বৃদ্ধ জিন্নত আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমার বয়সেও এমন বিয়ে দেখিনি। হেলিকপ্টারে করে বউ আনে এটা প্রথম দেখলাম। রাসেল এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
কনে মিতু আক্তার বলেন, আমি কখনও কল্পনাও করিনি আমার বর আমাকে হেলিকপ্টারে করে তার বাড়ি নিয়ে যাবে। এতে আমি খুব খুশি।
বর রাসেল মিয়া বলেন, বাবার ইচ্ছা পূরণ করতেই হেলিকপ্টারটি ভাড়া আনা হয়। টাঙ্গাইল থেকে রওনা দিয়ে ময়মনসিংহের বাটাজোর থেকে নববধূকে নিয়ে ফিরে এসেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুসা দেওয়ান বলেন, হেলিকপ্টারে চড়ে এই বিয়েকে কেন্দ্র করে আমাদের গ্রামে সকাল থেকেই উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বড় বড় অনুষ্ঠানেও এতো লোকজন আসে না।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা টাঙ্গাইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান মুন্সি বলেন, বর পক্ষ নিরাপত্তার জন্য এক সপ্তাহ আগে আবেদন করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০২১
এনটি