ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জসহ ২ উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
৬ ডিসেম্বর হবিগঞ্জসহ ২ উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস

হবিগঞ্জ: আজ ৬ ডিসেম্বর। একাত্তরের এইদিনে হানাদারমুক্ত হয়েছিল হবিগঞ্জ সদর, নবীগঞ্জ ও চুনারুঘাট।


 
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের খবর শোনার জন্য রেডিওতে কান পেতেছিলেন হবিগঞ্জবাসী। এর কদিন আগেই প্রচণ্ড গুলিবর্ষণের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দিয়েছিলেন তাদের আগমনী বার্তা। এরপর ৬ ডিসেম্বর শীতের সকালে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে জেলা শহরের রাস্তায় বিজয় উল্লাস করেন তারা। শহরবাসী অভিবাদন জানান জাতির সূর্য সন্তানদের।
 
হবিগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্ত করতে নেতৃত্বদানকারী অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স নায়েক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহীদ জানান, তিন নম্বর সেক্টরের একটি প্লাটুন ২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ শহরের পাশে এসে আস্তানা গড়ে ও পাকিস্তানের দুইজন দালালকে হত্যা করে। পরে ৫ ডিসেম্বর ঘেরাও করা হয় হবিগঞ্জ শহর। তখন পাকিস্তানি সেনারা পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেন এবং থানায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।
 
নবীগঞ্জ উপজেলায় তিনদিনের সম্মুখ যুদ্ধের পর ৬ ডিসেম্বর সুর্যোদয়ের কিছুক্ষণ আগে পাকিস্তানী সেনাদের সম্পূর্ণরূপে বিতাড়িত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এদিন থানা ভবনে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। নবীগঞ্জ থানায় হানাদার বাহিনীর ক্যাম্প লক্ষ্য করে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা। ৩ ডিসেম্বর রাত থেকে চলে গুলিবিনিময়। ৪ ডিসেম্বর থানা ভবনের উত্তর দিকে রাজনগর গ্রামের কাছ থেকে হানাদার বাহিনীর ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালানো হয়। এ যুদ্ধে কিশোর বয়সী বীর মুক্তিযোদ্ধা ধ্রুব শীহদ হন ও কয়েকজন আহত হন। ৫ ডিসেম্বর রাতে শাখা বরাক নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থান নেন মুক্তিযোদ্ধারা। প্রায় ৩ ঘণ্টা যুদ্ধের পর পালিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। পরদিন ৬ ডিসেম্বর মুক্ত ঘোষণা করা হয় নবীগঞ্জ উপজেলাকে।
 
এছাড়া চুনারুঘাট উপজেলাও হানাদার মুক্ত হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর। ৫ ডিসেম্বর রাতে চুনারুঘাটের সীমান্ত এলাকা থেকে শত শত বীর মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা শহরের দিকে সাড়াশি  আক্রমণ করেন। ৬ ডিসেম্বর ভোরে পাকিস্তানি দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে পালাতে শুরু করে এবং হানাদার বাহিনী শ্রীমঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়।  

৬ ডিসেম্বর সকালে তৎকালীন সিও অফিসের সামনে স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা উত্তোলন করেন মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়া চৌধুরী, মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছামাদ পিসিও, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মন্নান সরকারসহ অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।