কুড়িগ্রাম: ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম হানাদারমুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষে কুড়িগ্রামে বর্ণাঢ্য র্যালি, পুষ্পার্ঘ অর্পণ, গুণীজন সম্মাননা ও আলোচনাসভাসহ দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে অবদান রাখার জন্য ৩৬ গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
এর আগে কুড়িগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। পরে স্বাধীনতার বিজয়স্তম্ভে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে।
পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকুর সভাপতিত্বে হানাদার মুক্ত দিবসের তাৎপর্য বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন- কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বীরপ্রতীক আব্দুল হাই সরকার, পৌর মেয়র কাজিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন, প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে অবদান রাখার জন্য ৩৬ গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে স্টেডিয়াম টি-২০ ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ৫ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা কুড়িগ্রাম মুক্ত করতে পাক হানাদার বাহিনীকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে সাঁড়াশি আক্রমণ চালান। পরে ৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি মিত্র বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এ সময় টিকতে না পেরে পিছু হটে পাকিস্তানী বাহিনী। সেদিন বিকেলে ৬ নম্বর সেক্টরের কোম্পানি কমান্ডার বীরপ্রতীক আব্দুল হাই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে প্রথমে কুড়িগ্রাম শহরের ওভারহেট পানির ট্যাংকে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করে কুড়িগ্রামকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন।
৬ নম্বর সাব সেক্টরের কোম্পানি কমান্ডার বীরপ্রতীক আব্দুল হাই সরকার জানান, ৫ ডিসেম্বর থেকে কুড়িগ্রাম মুক্ত করতে পাক হানাদার বাহিনীকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলা হয়। পাশাপাশি মিত্র বাহিনী বিমান হামলা চালায়। এসময় সাঁড়াশি আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকহানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে। পরে ৬ ডিসেম্বর বিকেলে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কুড়িগ্রামে প্রবেশ করে শহরের ওভারহেট পানির ট্যাংকে প্রথম বিজয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
এফইএস/এমআরএ