কক্সবাজার: দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন ভ্রমণে গিয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আটকা পড়েছেন ঢাকার একদল চিকিৎসক। কিন্তু তাতে কী, দ্বীপে বন্দী সেই সময়টুকু স্থানীয়দের চিকিৎসাসেবা দিয়ে কাটালেন তারা।
জানা গেছে, গত শনিবার (৪ ডিসেম্বর) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে যান একদল চিকিৎসক। রোববার (৫ ডিসেম্বর) ফেরার কথা থাকলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় ফিরতে পরেননি তারা।
চিকিৎসক দলের প্রধান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিউরোসার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত দ্বীপবাসীকে চিকিৎসাসেবা দেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিব খাঁন।
তিনি জানান, সোমবার সেন্টমার্টিন ১০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ডরমিটরিতে শতাধিক রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেন তারা। এ সময় তাদের সহযোগিতা করেন হাসপাতালে সহকারী চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈকত হাসান।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত শনিবার প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে বেড়াতে আসা দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়েন।
এ দলে ছিলেন পরিবারের সদস্যসহ ৬৭ জনের চিকিৎসক দলও। যেখানে ছিলেন ৩০ জন চিকিৎসক। তাদের অধিকাংশই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কর্মরত। তাদের মধ্যে মেডিসিন, শিশুরোগ, গাইনিসহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। যোগ করেন ইউপি সদস্য হাবিব।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল কবির জানান, হাসপাতালে নিয়মিত সেবাদান চললে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাসেবা পায় না দ্বীববাসী। যেভাবেই হোক সেবা পেয়ে বেশ খুশি দ্বীপের মানুষ।
তিনি বলেন, চিকিৎসা ক্যাম্পের খবর পেয়ে সকাল থেকে হাসপাতালে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, ভ্রমণে এসে আটকা পড়ে চিকিৎসকদের এমন মহৎ উদ্যোগের কথা শুনে আমি খুবই খুশি হয়েছি।
তাই এ মহৎ উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমার সহযোগিতা চাইলে আমি যতটুকু সম্ভব তাদের সহযোগিতা করেছি। দেশ জাতির উন্নয়নে এভাবেই যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসা উচিত।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ থাকায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ রুটে রোববার থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
এসবি/আরআইএস