ঢাকা: ঢাকায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ-ভারত ‘মৈত্রী দিবস’ উদযাপিত হয়েছে। ৫০ বছর আগে এদিনে বাংলাদেশের বিজয়ের ১০ দিন আগেই ভারত-ভুটান একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
মৈত্রী দিবস উপলক্ষে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভারতীয় হাই কমিশন একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সেনাপ্রধান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পনেতা, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা। ২০২০-২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশি নাগরিকদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এতে বিপুল দর্শকের উপস্থিতি ছিল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে ভারত স্বীকৃতি দেওয়া ছিল অন্যন্য ঘটনা। সে সময় থেকেই দুদেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরকালে নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৬ ডিসেম্বরকে 'মৈত্রী দিবস' হিসেবে চিহ্নিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দুদেশের বন্ধুত্বের অনন্য ভিত্তি এবং বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের স্মরণীয় অগ্রযাত্রার সাক্ষ্য হিসেবে উভয় দেশ শুধুমাত্র দিল্লি ও ঢাকা নয়, বিশ্বের আরও ১৮টি শহরে মৈত্রী দিবস উদযাপন করছে।
মৈত্রী দিবস উপলক্ষে গান বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসের পরিচালনায় একটি জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শেষ হয়। অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ৫০ জন বিশিষ্ট শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সোনালী অধ্যায় পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও ঢাকায় ও বিশ্বব্যাপী মৈত্রী দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ কর্তৃক যৌথভাবে নির্বাচিত লোগো ও ব্যাকড্রপ ঢাকায় ও সারা বিশ্বে প্রদর্শিত হয়।
মৈত্রী দিবস উদযাপন অভিন্ন মূল্যবোধ, সংস্কৃতি নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা ও সমঝোতার ভিত্তিতে রচিত উভয় দেশের অদ্বিতীয়-ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বকে আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
টিআর/আরবি