ঢাকা: অশ্লীল ফোনালাপ ফাঁসের পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, এমপি।
ছাত্রদল থেকে আসা আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য কবে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন সেই শুভ দিনটির কথাও তিনি ভুলে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে মুরাদ হাসান মাত্র সাড়ে ছয়মাস আগে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ২০১৯ সালের ১৯ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পদত্যাগপত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, ২০২১ সালের ১৯ মে আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। অদ্য ৭ ডিসেম্বর হতে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব হতে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী বরাবর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
মো. মুরাদ হাসান এমপি এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০১৮ সালের জামালপুর-৪ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ চট্টগ্রাম অবস্থান করায় মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি তার পক্ষে পদত্যাগপত্র জমা দেন। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মাধ্যমে তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।
এর আগে সোমবার অশালীন, শিষ্টাচারবর্জিত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিমন্ত্রীকে আজকের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এসই/এজে