বরিশাল: এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করে আসা রফিকুল ইসলাম (৪৯) নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসককে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর সংলগ্ন নীলখোলা এলাকার।
মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক রফিকুল ইসলামকে এক বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিনমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসাথে ভুয়া চিকিৎসককে আশ্রয়দাতা টরকী বন্দরের আনোয়ারা মেডিক্যাল হলের স্বত্বাধিকারী মো. শহিদুল্লাহকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। শহিদুল্লাহ তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ভুয়া চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম শেরপুর সদরের চরমুচারিয়া গ্রামের আলহাজ আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রফিকুল ইসলাম নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ও সাইনবোর্ডসহ প্যাডে এমবিবিএস চিকিৎসক লিখে টরকী বন্দরে আনোয়ারা মেডিক্যাল হলে বসে দীর্ঘদিন থেকে এলাকার সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা করে আসছিলেন।
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে টরকীর নীলখোলা নামক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাকাই বাজারের সেবা মেডিক্যাল হল নামে আরও একটি চেম্বারে তিনি রোগী দেখতেন। সেখানেও তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে চিকিৎসার নামে অর্থ হাতিয়ে নিতেন।
মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয়রা রফিকুল ইসলামকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি পালানোর
চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী তাকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুল ইসলাম প্রিন্সকে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয়দের হাতে আটকের পর অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি এইচএসসি পাস করার পর আল্টা মেডিসিন কোর্স সম্পন্ন করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দেওয়া ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এমএস/এমজেএফ