বরগুনা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বরগুনায় তিন দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাসের কারণে ক্ষেতে আমন ধানের শীষগুলো হেলে পড়েছে।
বরগুনার বামনা, বেতাগী, আমতলী-তালতলী পাথরঘাটাসহ কয়েকটি উপজেলায় খবর নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বরগুনা উপকূলীয় জেলা হাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের আতঙ্ক কৃষকদের মধ্যে এখনও বিরাজ করছে।
একাধিক কৃষক বাংলানিউজকে বলেন, কিছুদিনের মধ্যে জমি থেকে ধান সংগ্রহ করা যেতো। এখন বৃষ্টির কারণে অনেক ধান পড়ে গেছে। অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে যাবে। এবার আমনের ছড়া দেখে লোকসানের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে ঝড়বৃষ্টির কারণে যে ক্ষতি হয়েছে অথ্যাৎ চাষাবাদের খরচের ধারদেনা কাটিয়ে উঠতে পারব না।
সদর উপজেলার খাজুরতলা গ্রামের বাসিন্দা খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির কারণে খেতে পানি জমায় সব ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সারা বছরের কষ্টের ফসল নষ্ট হয়ে গেলে পরবর্তী ধান না আসা পর্যন্ত পরিবার নিয়ে কি খাব আমরা। সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।
বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় চলতি বছরে ৯৮ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এদিকে ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে খেসারি ডালের আবাদ হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমন ধানগাছ মাটিতে নুয়ে পড়লেও তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবে বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ডালের আবাদ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মুঠোফোনে বাংলানিউজকে বলেন, এ আবহাওয়ায় আমন খেতে পোকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। বৃষ্টির চেয়ে পোকার আক্রমণে ফসলের আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে।
বরগুনা কৃষি অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) এস এম বদরুল আলম মুঠোফোনে বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টিতে ডালের খেতগুলোতে পানি জমেছে, এতে ডালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
জেডএ