ভোলা: ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ভোলায় ৩১ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল বাতাস ও টানা বর্ষণে হেলে পড়েছে আমনের ক্ষেত, তলিয়ে গেছে বোরো ধানের বীজতলা, রবিশস্য ও শীতকালীন সবজি।
এতে দিশেহরারা হয়ে পড়েছেন তারা। অনেকেই এবার এনজিও থেকে ঋণ এবং ধারদেনা করে ফসলের আবাদ করেছেন। ফসলের ক্ষতি হলে তারা কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবেন, সে চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অন্যদিকে এবার আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও ঝড়ের কারণে মলিন হয়ে গেছে সে হাসি মুখ।
কৃষকরা জানান, অনেকেই আমন ধান কেটে ঘরে তুলেছেন, কিন্তু যারা এখনও ধান কাটেননি তাদের ধান হেলে পড়েছে। রবিশস্য ও শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়ে গেছে চাষিদের।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ৮২ হাজার ৫০২ হেক্টর জমির আমন ধানের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২৪ হাজার ৬৬৯ হেক্টরের ফসল। বোরো চাষ করা হয়েছে এক হাজার ৩২ হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪৩ হেক্টর জমির বীজতলা।
অন্যদিকে ৪ হাজার ৩৮৯ হেক্টর জমির খেসারির ডাল, সাড়ে ১৫ হেক্টরের মসুর ডাল, এক হাজার ২৯৩ হেক্টর গম, ২৪১ হেক্টর আলু এবং এক হাজার ১১৩ হেক্টর জমির শীতকালিন সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জেলায় আবাদকৃত মোট ৯৯ হাজার ৮২৪ হেক্টর জমির ফসলের মধ্যে ৩১ হজার ৯৮১ হেক্টরের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কৃষি অফিস বলছে, আমন ধান ইতোমধ্যে ৫৫ ভাগ কাটা হয়ে গেছে। বাকি ৪৫ ভাগ ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভোলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাসান ওয়ারিসুল কবির বলেন, আমরা কৃষকদের আমন ধান দ্রুত কাটার পরামর্শ দিয়েছি। এছাড়াও অন্য ফসল মাটিতে জো এলে পুনরায় আবাদ করতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা এলে তা বিতরণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
জেডএ