মহামারি করোনার নতুন ধরন নিয়ে উৎকণ্ঠায় বিশ্ববাসী। এই সময়ে কিছুটা আশার কথা জানালেন অণুজীববিজ্ঞানী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।
মঙ্গলবার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অনুষ্ঠিত ‘কভিড-১৯, ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন, ডেলটা, ওমিক্রন-বিজ্ঞান, নৈতিকতা, বৈষম্য’ বিষয়ে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ওমিক্রনকে ভয়ংকর ভাবার কারণ ভাইরাসটির মিউটেশন। এখন পর্যন্ত ডেল্টা ধরনের সর্বোচ্চ ১৫ বার মিউটেশন হয়েছে। সেখানে ওমিক্রনের মিউটেশন হয়েছে ৫০টি। এর মধ্যে ৩২টি মিউটেশন হয়েছে স্পাইক প্রোটিন। যে প্রোটিন দিয়ে সে মানুষকে খুব দ্রুত সংক্রমিত করে। এ ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে আমরা মনে করতে পারি ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ বাড়তে পারে এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমতে পারে। এ দুটি একসঙ্গে করে মনে করা হচ্ছে-হয়তো ওমিক্রন ডেল্টার চেয়েও ভয়ংকর হতে পারে।
তিনি বলেন, তবে এই মুহূর্তে ডেল্টার মতো আতঙ্কিত হওয়ার অবস্থায় যায়নি ওমিক্রন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
এসআইএস